আবনা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৫টা ৫ মিনিটে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ইম্ফল থেকে ২৯ কিলোমিটার পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম এবং ঢাকা থেকে ৩৫২ কিলোমিটার পূর্ব উত্তর-পূর্বে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৫৫ কিলোমিটার গভীরে।
ঢাকাসহ সারা দেশেই এ ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শীতের ভোরে ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে ঘুম ভাঙার পর অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা শাহরীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাঁপুনিতে ঘুম ভাঙার পর তিনি ভূমিকম্পের বিষয়টি টের পান। তখনও ঘরের সবকিছু দুলছিল।
“বাবা-মায়ের সঙ্গে আমি দ্রুত নিচে নেমে আসি। এটা খুবই জোরালো ছিল।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ত্রিপুরা প্রতিনিধি পিনাকি দাস জানান, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অধিকাংশ রাজ্যে চার থেকে পাঁচ সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
তবে ভারতের ওই অঞ্চলেও তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে আঞ্চলিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা শরৎ দাস জানান।
ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রায়ই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সিলেট অঞ্চল দিয়ে যাওয়া ডাউকি ফল্টের কারণে বাংলাদেশও বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে ভূতত্ত্ববিদরা সতর্ক করে আসছে।
source : abna24