আবনা ডেস্ক: কেনিয়ার একটি যাত্রীবাহী বাসে ইসলামি জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে খ্রিস্টান যাত্রীদের হত্যা করতে চাইলে মুসলিম যাত্রীরা বাধা দিয়েছিলেন। ওই মুসলিমদের একজন চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছেন।
বিবিসি বলছে, গুলিতে আহত ওই ব্যক্তির নাম সালাহ ফারাহ। তিনি একজন শিক্ষক।
হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় তিনি মারা যান।
ডিসেম্বরে কেনিয়ার মান্দেরায় সোমালিয়ার জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাবের হামলার শিকার হয় বাসটি। হামলা চলাকালে বাসের খ্রিস্টান যাত্রীদের সনাক্ত করতে মুসলিম যাত্রীদের সরে দাঁড়াতে বলে সন্ত্রাসীরা।
কিন্তু মুসলিমরা তা করতে অস্বীকার করেন। ওই মুসলিমদের মধ্যে সালাহ ফারাহও ছিলেন।
এ সময় একটি গুলিতে ফারাহ আহত হন। রাজধানী নাইরোবিতে প্রায় এক মাস চিকিৎসা শেষে তিনি মারা যান।
এক বছর আগে একই এলাকায় আল শাবাব সন্ত্রাসীরা একটি যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালিয়ে মুসলিম যাত্রীদের ছেড়ে দিয়ে অমুসলিম ২৮ যাত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছিল।
এই ঘটনার বিষয়ে আল শাবাবের মুখপাত্র শেখ আব্দিয়াসিস আবু মুসাব জানিয়েছিলেন, তাদের যোদ্ধারা বাসটি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছিল।
রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এতে কিছু খ্রিস্টান শত্রু নিহত ও অন্যরা আহত হয়।”
তবে হামলা সময় বাসের মুসলিম যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
ফারাহ বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, হামলাকারীরা তাকে পালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল।
ফারাহ বলেছিলেন, “তারা আমাদের বলেছিল, যদি আমরা মুসলিম হই তবে আমরা নিরাপদ। কিন্তু কয়েকজন ছিলেন যারা মুসলিম নন। তারা তাদের মাথা লুকিয়ে ফেলেছিল।”
তিনি আরো জানিয়েছিলেন, যাত্রীদের মধ্যে মুসলিমদের আলাদা হয়ে যেতে বলা হলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করে।
“আমরা আমাদের সবাইকে হত্যা করতে নয়তো সবাইকে ছেড়ে দিতে বলেছি।” বলেছিলেন ফারাহ।
ভয়েস অব আমেরিকাকে ফারাহ বলেছিলেন, “সবার একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করা উচিৎ। আমরা সবাই ভাই।”
ফারাহর মৃত্যুতে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ জোসেফ বইনেত শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি ছিলেন ‘সত্যিকারের নায়ক’।
source : abna24