আবনা ডেস্ক: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী তার দেশের আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে শত্রুদের প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শত্রুরা আসন্ন নির্বাচনে তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীদের বিজয়ী করার চেষ্টা করবে।
ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের তাবরিজ শহরে ১৯৭৭ সালের শাহ সরকার-বিরোধী রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে আজ (বুধবার) ওই প্রদেশের হাজার হাজার মানুষ সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইসলামি বিপ্লবের ৩৭তম বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় বিপুল হারে অংশগ্রহণ করায় তিনি ইরানের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমি সত্য তুলে ধরতে কখনো ক্লান্ত হই না। যেসব বিষয় জনগণকে জানানো প্রয়োজন মনে করি তা আমি তাদের জানাবোই। শত্রুরা চায় তাদের অশুভ লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে ইরানের জনগণ অজ্ঞ থাকুক।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, মার্কিনীরা ইরানের ইসলামি বিপ্লবের শুরু থেকেই অভিভাবক পরিষদসহ এদেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার বিরোধিতা করে এসেছে। শত প্রচেষ্টার পরও তারা এই পরিষদকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। এখন তারা চাচ্ছে ইরানের নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অভিভাবক পরিষদের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। মার্কিনীরা জনগণের পক্ষ থেকে চার বছরের জন্য নির্বাচিত পার্লামেন্টকে অবৈধ করে রাখতে চায়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, দেশের অভ্যন্তরে যারা শত্রুদের এই প্রচেষ্টার পক্ষে কাজ করছে তারা ষড়যন্ত্রের গভীরতা উপলব্ধি করছে না। অভিভাবক পরিষদকে ধ্বংস করার অর্থ নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা এবং চার বছরের জন্য দেশের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা বা পার্লামেন্টকে বেআইনি করে দেয়া। দেশের জনগণের উচিত এই বাস্তব সত্যটি উপলব্ধি করা।
ইরানের যেকোনো নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা অভিভাবক পরিষদের অন্যতম দায়িত্ব। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ইরানের পার্লামেন্ট মজলিসে শুরায়ে ইসলামির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো কোনো মহল অভিভাবক পরিষদের পক্ষ থেকে ঘোষিত প্রার্থী তালিকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।#
source : abna24