আবনা ডেস্ক: উত্তর ভারতের হরিয়ানাতে জাঠদের সহিংস বিক্ষোভ আন্দোলন আজ আরো নতুন নতুন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে - তাদের বিক্ষোভের জেরে দেশের রাজধানী দিল্লিতেও প্রবল জলসঙ্কট তৈরি হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে বিশেষ সংরক্ষণের দাবিতে হরিয়ানার জাঠরা গত কয়েকদিন ধরে যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাতে গতকাল পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। আর আজকের সহিংসতায় আরো ছয়জনের প্রাণহানি হয়েছে।
দিল্লির উপকন্ঠে গুরগাঁওতে একটি রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। গুরগাঁওতে কারফিউ জারি ছিল, টহল দিচ্ছিল সেনাবাহিনীও। কিন্তু তারপরও বিক্ষোভকারীদের থামানো যায়নি।
হরিয়ানারি ভিওয়ানিতে জাঠ বিক্ষোভকারীরা একটি ব্যাংকের এটিএম মেশিনেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে খোদ রাজধানী দিল্লিতেও। দিল্লি থেকে যে রাস্তাটি হরিয়ানার বাহাদুরগড়ের দিকে যায়, রাজধানীর জাঠরা সকাল থেকে সেটির ওপর বসে পড়ে অবরোধ শুরু করেছেন।
এছাড়া দেশের ১ নম্বর ন্যাশনাল হাইওয়ে– যে জাতীয় সড়কটি দিল্লিকে হরিয়ানা-পাঞ্জাব-হিমাচল প্রদেশ-জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত করে– সেটিতে গতকাল থেকে শুরু হওয়া অবরোধ এখনো অব্যাহত আছে।
রোহটাক, ভিওয়ানি, সোনপত, ঝজ্জর বা হিসারের মতো হরিয়ানার প্রায় সব বড় শহরেই কারফিউ জারি আছে। পুরো রাজ্যে জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত, বহু জায়গায় বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।
হরিয়ানাতে এই বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর মোট সাতশোরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্তত সাতটি স্টেশনে।
এদিকে হরিয়ানা থেকে যে মুনাক ক্যানাল রাজধানী দিল্লিতে জল সরবরাহ করে থাকে, বিক্ষোভকারীরা সেখানে গতকাল সরঞ্জাম ভাঙচুর করার পর সেই সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে, দিল্লিতে শুরু হয়েছে জলের জন্য হাহাকার।
দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই শহরের নানা প্রান্তে জলের রেশনিং শুরু করে দিয়েছে, রবিবার বিকেল থেকে শহরের নানা জায়গায় জল সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হবে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জলাভাবের কারণে দিল্লিতে আগামিকাল সব স্কুল বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হরিয়ানা সরকার বিক্ষোভকারীদের সংযত হতে বার বার আবেদন জানালেও জাঠ নেতারা বলছেন, তাদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে অর্ডিন্যান্স চালু না-করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
হরিয়ানা সরকারের মন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, ‘ক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে সরকারের পক্ষে কোনও আলোচনা চালানো সম্ভব নয়!’
source : abna24