আবনা ডেস্ক :সৌদি আরবের কুখ্যাত ধর্মীয় পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নতুন নিয়মে ‘মুতাওয়া পুলিশ’ রাস্তায় সন্দেহভাজন কোন নারী বা পুরুষকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। তারা কেবল সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর কাছে রিপোর্ট করতে পারবে।
মুতাওয়া পুলিশ সম্পর্কে নতুন আইনটি সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে অনুমোদিত হয়েছে। তবে এখনো তা সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি। আজ বুধবার ওই সংশোধিত আইনটি প্রকাশের কথা রয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী মুতাওয়া পুলিশ যৌন উত্তক্তকারী ও মাদক বেচা-কেনা রোধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। পাশাপাশি নারী গাড়ি চালকদের প্রতিও তাদের দায়িত্ব থাকবে।
এ বিষয়ে নতুন নিয়মে বলা হয়েছে যে এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদেরকে অনেক মানবিক, ভদ্র ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
এর আগে ২০১২ সালে সৌদি সরকার দেশটির ধর্মীয় পুলিশ বাহিনীর ক্ষমতা কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল ধর্মীয় পুলিশের গ্রেপ্তার ও সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষমতা নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। তা ছাড়া ঊর্ধ্বতনের অনুমতি ছাড়া তারা কোনো বাড়িতে অভিযানও চালাতে পারবে না।
মূলত ২০১২ সালে এই বাহিনীর একজন সদস্য নেইল পলিশ পরা এক সৌদি নারীকে একটি শপিংমল থেকে বের হয়ে যেতে নির্দেশ দিলে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বাগিবতণ্ডার দৃশ্যটি ওই নারী মুঠোফোনে ধারণ করে ইউটিউবে ছেড়ে দিলে বাহিনীটি কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে। তখন থেকেই সৌদি সরকার ওই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করে।
এছাড়াও গত বছর সৌদি আরবের ধর্মীয় পুলিশের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ধরতে টোপ হিসেবে পর্নোগ্রাফি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা ‘মক্কাহ’ এ অভিযোগ করেছিল। তখন পত্রিকাটির বরাত দিয়ে আল-আরাবিয়া নিউজ জানিয়েছিল, সাইবার অপরাধে সন্দেহভাজনদের লোভ দেখাতে ধর্মরক্ষা ও পাপ প্রতিরোধ কমিটি অশ্লীল ছবি ব্যবহার করছে।
উল্লেখ্য, ‘মুতাওয়া’ সৌদি ধর্মীয় পুলিশের নাম। বাহিনীটি পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করে।#
source : abna24