আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা- : আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, দেশের দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনী’র এক অভিযানে আল-কায়েদার একটি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। অভিযানে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘ইউসুফ রেজা গিলানি’র পুত্র ‘আলী হায়দার গিলানি’কে চিহ্নিত করার পর তাকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
সন্ত্রাসীদের মোকাবিলায় আফগান বাহিনীর আপ্রাণ চেষ্টার বিষয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আফগান প্রসিডেন্ট আলী হায়দার গিলানি’র মুক্তিকে তার পরিবারের জন্য সুখবর আখ্যায়িত করে লিখেছেন যে, জনাব গিলানিকে কাবুলে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ অভিযান আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের গিয়ান অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর স্পেশাল স্কোয়াড ও আফগান সেনাবাহিনী’র কমান্ডোদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ৪ আফগান বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ‘উমার যাখিলওয়াল’ পাকিস্তানে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত তার ফেইসবুক পেইজে লিখেছিলেন, আফগানিস্তানের স্পেশাল ফোর্স কর্তৃক গজনি প্রদেশে পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ গিলানি’র পুত্র আলী হায়দার গিলানিকে অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
আফগান রাষ্ট্রদূত আরো জানান, পুত্রের মুক্তিতে আনন্দ প্রকাশ করে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আশরাফ গনি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউসুফ রেজা গিলানি।
পরিবারের মাঝে আনন্দ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আফগান বাহিনী’র প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী।
প্রায় ৩ বছর আগে পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের মুলতান শহরে একটি নির্বাচনী সমাবেশ থেকে সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রীর পুত্র আলী হায়দারকে অপহরণ করা হয়।
২০১৩ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির একজন প্রার্থী ছিলেন আলী হায়দার গিলানি। তাকে অপহরণের বিষয়ে সেসময় বিরোধী পার্টির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছিলেন তার পিতা ইউসুফ গিলানি। ইউসুফ গিলানী’র ছোট ছেলে আলী হায়দার গিলানি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইউসুফ রেজা গিলানি। ততকালীন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী যারদারী’র বিরুদ্ধে আনীত দূর্নীতি’র মামলায় পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।#