আবনা ডেস্ক : কুখ্যাত ‘নাকাবা’ বা বিপর্যয় দিবস উপলক্ষে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগ ব্যাপক বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়েছে। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ইহুদিবাদী ইসরাইল হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে।
দিনটি উপলক্ষে আজ (রোববার) হাজার হাজার মানুষ গাজা শহরের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা তাদের মাতৃভূমি ফেরত দেয়ার দাবিতে স্লোগান দেন। পরে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে গাজায় জাতিসংঘ দপ্তরের দিকে যায়। এসময় তারা ‘আমরা আমাদের মাতৃভূমিতে ফিরব’- বলে স্লোগান দেন।
আমেরিকা ও ব্রিটেনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে আরবদের পরাজিত করে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তখন থেকে এসব ফিলিস্তিনি বিভিন্ন দেশে উদ্বাস্তু হিসেবে জীবনযাপন করছেন।
আজকের বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক ফিলিস্তিনি বলেন, “নাকাবা দিবসের পর আজ ৬৮ বছর পার হয়ে গেছে এবং আমাদের লোকজন কখনো তাদের মাতৃভূমিকে ভুলে যাবে না।” তিনি আরো বলেন, “আমরা সারা দুনিয়াকে জানাতে চাই যে, আমরা কখনো আমাদের মাতৃভূমি ফিলিস্তিনের কোনো বিকল্প মেনে নেব না।” বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
নাকাবা দিবস উপলক্ষে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান খালেদ মাশআল এক বিবৃতিতে বলেছেন, নাকাবা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার অধিকারের দিন, জেলবন্দিদের অধিকার, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং আত্ম-নিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। নাকাবা দিবস উপলক্ষে অধিৃকত পশ্চিম তীরেও বড় ধরনের বিক্ষোভ-মিছিল হওয়ার কথা।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১৯৪৮ সালের এই দিনে সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। সেসব ব্যক্তি গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর, লেবানন, জর্দান ও সিরিয়ার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছেন। উদ্বাস্তু সেই ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে এখন ৫০ লাখে পৌঁছেছে।#
source : abna24