আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা- : ইরাকের সক্রিয় আলেমদের একটি দল আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার (মাজমা) মহাসচিব হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মুহাম্মাদ হাসান আখতারির সাথে সাক্ষাত করেছেন।
সাক্ষাতের শুরুতে ইরাকি ঐ আলেমদের দলনেতা হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আল-হায়দারি’ সাক্ষাতের বিষয়ে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন: আমরা আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার মহাসচিবের সাথে সাক্ষাত করতে পেরে গর্বিত। যিনি বিশ্বব্যাপী ইসলাম ও আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাব সম্প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
তার সাথে আগত আলেমদের পরিচয় পর্ব শেষ করার পর তিনি বলেন: আমরা সাথে বেলায়েতে ফাকিহ’র অনুগত একদল আলেম এসেছেন; যারা ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স (পিএমএফ)সহ ইরাকের বিভিন্ন ইলমি ও সাংস্কৃতিক সংস্থায় তৎপর।
আল-হায়দারি বলেন: বেলায়েত পন্থী আলেমদের এ সংগঠন কয়েক বছর আগে ইরাকে গঠিত হয়েছে। সংবিধান লেখার কাজ শেষ করার পর ভোটের মাধ্যমে এর কমিটি গঠিত হয়েছে। স্কুল ও মাদ্রাসা নির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে ইরাকের ৫টি প্রদেশে ইমাম খোমেনি (রহ.) নামে এর কার্যক্রম শুরু করে এ সংগঠন। এছাড়া পিএমএফে সক্রিয় মুবাল্লিগদের ইলমি সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন মসজিদেও তৎপর এর সদস্য আলেমরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে রয়েছে তাদের সরব উপস্থিতি। ইমাম হুসাইন (আ.) এর চল্লিশার অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৎপর থাকে সংগঠনটি।
আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার মহাসচিব এ সাক্ষাতে আনন্দ প্রকাশের পর বলেন: আহলে বাইত (আ.) এর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন গ্রন্থ প্রকাশ এবং এদেশের জাতীয় ইস্যুগুলোতে উলামাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে আহলে বাইত (আ.) এর অনুসারীরা অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে। তবে শত ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে বিশ্বে আহলে বাইত (আ.) এর মাযহাবের প্রসার অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বের ১৩০টিরও বেশী দেশে মাজমা’র সরব উপস্থিতি রয়েছে। ৪ হাজারেরও বেশী সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থা। আর এর সবটাই ইসলামি বিপ্লবের বিজয়, ইমাম খোমেনি (রহ.) ও আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী’র নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে।
বিশ্বে ইরাকি আলেমদের তৎপরতার বিষয়ে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন আখতারি বলেন: স্বৈরাচারী সাদ্দাম সরকারের যুগে অনেক ইরাকি আলেম দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে হিজরত করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারা এ হিজরতের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলাম ও শিয়া মাযহাবের প্রসার ঘটিয়েছেন। বর্তমানে টিভি চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েব সাইটগুলো আলেমদের জন্য এ সুযোগ সৃষ্টি করেছে যে, তারা এখন বাড়িতে বসেই জনগণকে ধর্মের প্রতি নির্দেশনা দিতে পারছেন। আর এ বিষয়টি আমাদের দায়িত্বকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন: বর্তমানে শিয়ারা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আজ আহলে বাইত (আ.) এর অনুসারীরা হামলা ও হুমকির সম্মুখীন। বর্তমানে বিশ্ব সম্রাজ্যবাদ ও তাদের দোসর আরব দেশগুলো আল-কায়েদা ও দায়েশসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপকে সহযোগিতা করছে। প্রকৃত ইসলাম ধর্মের সাথে লড়াই করা হচ্ছে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। শিয়াদের প্রজন্ম হত্যার জন্য বিশ্বব্যাপী সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
মাজমা’র মহাসচিব তার বক্তব্যের শেষে তাকফিরি মুভমেন্টের সাথে লড়াইকে জরুরি আখ্যায়িত করে বলেন: সাংস্কৃতিক, মাযহাবি ও রাজনৈতিকসহ অন্য সক
source : abna24