আবনা ডেস্ক: ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র এবং মুসলিম বিশ্বের অনৈক্য পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাস মুক্ত করার প্রধান অন্তরায়। এর বিরুদ্ধে সব মাজহাবি বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে এক আল্লাহ, এক নবী (সা.) ও এক কালেমার ভিত্তিতে বিশ্বের সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
আন্তর্জাতিক আল-কুদস দিবস উপলক্ষে আজ ঢাকায় আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজী দেহনাভী এবং বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জামির সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আল কুদস কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর ড. শাহ কাউছার মুস্তাফা আবুল উলায়ী’র সভাপতিত্বে সেমিনারে “ইহুদীবাদী ষড়যন্ত্র ও মুসলিম বিশ্বের অনৈক্য আল-কুদস মুক্তির অন্তরায়”-শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দৈনিক আজকের ভোলা’র সম্পাদক অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ শওকাত হোসেন ।
আলোচনায় অংশ নেন মদিনাতুল উলুম মডেল ইন্সটিটিউট -এর প্রিন্সিপাল মওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনো, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. শহীদুল ইসলাম নূরী ও ইসলামি চিন্তাবিদ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিন খান।
মূল প্রবন্ধে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শওকাত হোসেন বলেছেন, ইরান বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী(রহ.) ৩৭ বছর আগে বিশ্বব্যাপী শিয়া-সুন্নী ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে “আল-কুদস দিবস” ঘোষণা করেন এবং মুসলমানদের পবিত্র মসজিদ আল কুদস মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান। সে আহ্বানের সাড়া দিয়ে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা গত তিন যুগ ধরে দিবসটি পালন করে আসছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ইহুদিবাদীদের ষড়যন্ত্র আর মধ্যপ্রাচ্যের এক শ্রেণীর রাজা-বাদশাহদের স্বার্থ ফিলিস্তিন ও আল-কুদস মুক্তির পথে বড় ধরনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওদের ষড়যন্ত্রের কারণে সকল মুসলিম রাষ্ট্রই এখন আত্মঘাতী যুদ্ধে লিপ্ত।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই ধারায় মাজহাবি বিতর্ক চলতে থাকলে আল-কুদস মুক্তি কিংবা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা দূরে থাক, মুসলিম বিশ্বের অস্তিত্ব ও মানচিত্র ধরে রাখাটাই কঠিন হয়ে যাবে।
প্রধান অতিথির ভাষণে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ইহুদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সজাগ করে তুলতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
বিশেষ অতিথির ভাষণে ইরানী রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সমস্যাকে ইরান কেবল আরবদের সমস্যা মনে করেনা। এটা গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি কর্তব্য বলে মনে করে। তিনি আরও বলেন আইএস নামের সন্ত্রাসীরা আসলে ইসরাইলি অর্থে পরিচালিত মাফিয়া চক্র। তারা বরং মুসলমানদের হত্যা করছে। মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে , সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে।
সেমিনার শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আল-কুদস কমিটির উদ্যোগে একটি মানব বন্ধন আয়োজন করা হয়। #
source : abna24