আবনা ডেস্ক: শোলাকিয়া হামলায় নেতৃত্ব দেয়া গুলিতে নিহত জঙ্গি আবির রহমানের লাশ নেয়নি পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে তার বাবা সিরাজুল ইসলাম সরকার ছেলের লাশ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বিষয়টি লিখিতভাবে পুলিশকে জানানোর পর সোমবার মাগরিবের নামাজের কিছু আগে কিশোরগঞ্জের গাইটাল এলাকার পৌর কবরস্থানে আবিরের লাশ দাফন করা হয়। দাফনের আগে কবরস্থান প্রাঙ্গণে তার জানাজা হয়। কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম একাই জানাজায় অংশ নেন। এ সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন লোক কবরস্থান এলাকায় থাকলেও কেউই জানাজায় অংশ নেননি। পরে আগে থেকেই কবরস্থানের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে খুঁড়ে রাখা একটি কবরে লাশ দাফন করা হয়। এর আগে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিহত জঙ্গি আবিরকে শেষ গোসল করানো হয়। ঈদের দিন চেকপোস্টে পুলিশের ওপর হামলার পর পুলিশ ও জঙ্গিদের গুলিবিনিময়ের সময় ডান হাতে পিস্তল এবং বাঁহাতে চাপাতি নিয়ে অ্যাকশনে দেখা গেছে আবিরকে। পরে পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়। ওইদিন বিকালে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ঘটনার পরদিন শুক্রবার দুপুরে বেসরকারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র এই ছাত্রের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। সে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৪নং রোডের ৫১/এ নং বাসার ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম সরকারের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ত্রিবিদ্যা গ্রামে। গত পহেলা মার্চ বিকাল তিনটার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়, এই মর্মে শোলাকিয়া হামলার আগের দিন ৬ই জুলাই ঢাকার ভাটারা থানায় জিডি (নং-২৯৪) করেন তার বাবা সিরাজুল ইসলাম সরকার। ময়নাতদন্তের পর নিহত আবির রহমানের লাশ রাখা হয় বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে। জঙ্গি ছেলের লাশ বাবা সিরাজুল ইসলাম সরকার গ্রহণ করবেন না মর্মে পুলিশকে লিখিত দেয়ার পর আবিরের লাশ দাফনের উদ্যোগ নেয় পুলিশ।
source : abna24