আবনা ডেস্ক: ভারতীয় পুলিশের গুলিতে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অশান্ত হয়ে আছে এলাকাটি। সেই উত্তাপ কাটেনি এখনো। নতুন করে কোনো গোলযোগের খবর পাওয়া না গেলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো উপত্যকাজুড়ে।
আশঙ্কা রয়েছে যেকোনো মুহূর্তে আবারো সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে এলাকাটিতে। পাম্পোর এবং কুপওয়ারাসহ কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকায় জারি রয়েছে কারফিউ। অন্যত্র কারফিউ না থাকলেও সাধারণ মানুষের গতিবিধির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করা রয়েছে।
বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের একজন পুলিশ সদস্য। এর আগে রোববার রাতে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গাড়িসহ সেখানকার ঝিলাম নদীতে ডুবিয়ে মারে বিক্ষুব্ধরা।
এছাড়া শনিবার সকালে মৃত্যু হয় মুস্তাক আহমেদ নামের এক ব্যক্তির। শনিবার কুলগাঁও এলাকার খুদওয়ানিতে আহত হয়েছিলেন তিনি। বুধবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনার আসগর সামুন এ কথা জানিয়েছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায়। শনিবার থেকে বুধবারের মধ্যে সেখানে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুলগাঁওয়ে মারা গেছে ৮ জন, সোপিয়ানে মৃতের সংখ্যা ৫, পুলওয়ামায় ৩ এবং শ্রীনগর ও কুপওয়ারায় এক জন করে মারা গেছে।
হিজবুল মুজাহিদিনের ডাকে কাশ্মীরজুড়ে চলছে ধর্মঘট। দোকানপাট, বাজার, স্কুল-কলেজ সবকিছুই বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় যান চলাচল নেই বললেই চলে। চলছে না ট্রেনও। এছাড়া বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও।#
ভারতীয় পুলিশের গুলিতে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অশান্ত হয়ে আছে এলাকাটি।
ভারতীয় পুলিশের গুলিতে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অশান্ত হয়ে আছে এলাকাটি।
source : abna24