আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: ইরানের রাজধানী তেহরানের জুমআর নামাযের অস্থায়ী খতিব হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন কাযিম সিদ্দিকী আজ (শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০১৬) তেহরানের জুমআর খোতবায় ইয়েমেনের উপর সৌদি আগ্রাসনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন: সৌদি আরব ইয়েমেনের ‘আস-সারারি’ গ্রামে হামলার মাধ্যমে নিজের অপরাধকর্মের কালো ফাইলকে আরো সমৃদ্ধ করলো। তারা গ্রামে গ্রামে হামলা চালিয়ে মানুষের উপর গণহত্যা চালায় এবং হত্যার পর নির্মমভাবে নিহতদের শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়।
তেহরানের অস্থায়ী জুমআর খতিব বলেন: এ গ্রামে অবস্থিত একজন সাধকে’র কবর খুঁড়ে কবরের ভেতরে থাকা হাড়গুলোকে বের করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় আগ্রাসী সেনারা। এই বর্বরতার সাথে ইসলামের কোথায় মিল রয়েছে? কোন মানবাধিকার একে সমর্থন করে? কারা আলে সৌদের নাম ‘খাদেমাইন হারামাইন আশ-শারিফাইন’ রেখেছে?
তিনি আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন: একদল মানুষ ‘রৌশনায়ী মুভমেন্টে’র ব্যানারে সমবেত হয়েছিল, অধিকার আদায় ছিল তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু তাদের উপর চালানো সন্ত্রাসী হামলায় ৮০টি প্রাণ ঝরে যায়। তালেবানও এর দায় স্বীকার করেনি। অতএব, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ এবং আফগান সরকারকে এর জবাবদিহিতা করতে হবে।
হুজ্জাতুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন: এ সন্ত্রাসী হামলায় এমন কিছু দ্রব্য পাওয়া গেছে যা শুধুমাত্র সরকারের অধীনেই থাকে। আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ এ নৃশংস হামলার বিপরীতে নিরব। মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এর মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, আফগানিস্তান ও ইয়েমেনের কোন ইস্যু তাদের কাছে গুরুত্ব রাখে না।
বাহরাইন ইস্যুতে তিনি বলেন: বাহরাইনের জনগণের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি অবলম্বন করেছে দেশটির সরকার। অথচ দেশটির জনগণ না অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে আর না কোন স্থানে অগ্নিসংযোগ করেছে।
শাইখ ঈসা কাসেমের নাগরিকত্ব বাতিলের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক ও ইসলামি আইন বিরোধী বলে আখ্যায়িত করে তেহরানের অস্থায়ী জুমআর খতিব হুজ্জাতুল ইসলাম ওযাল মুসলিমীন কাযিম সিদ্দিকী বলেন: ‘এ পদক্ষেপের মাধ্যমে নিজের কবর খুঁড়েছে বাহরাইন সরকার। বাহরাইনের জনগণ এ অন্যায়কে সহ্য করবে না। বাহরাইন সরকারের জানা উচিত যে, তারাও নিরাপদ থাকবে না।#
source : abna24