আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: শাইখ নেমেরে’র মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আলে সৌদের সাথে সম্পৃক্ত যে টুইটার এক্যাউন্ট থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল সেই একই একাউন্ট থেকে সৌদি আরবের প্রখ্যাত এ আলেমের ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় আলেম ‘শাইখ নেমের বাকের আন-নেমেরে’র ভাতিজা ‘আলী আন-নেমের’কে ২০১২ সালে স্বৈরাচারী সৌদি সরকার বিরোধী তৎপরতার অভিযোগে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদানের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর।
সৌদি নাগরিক এ শিয়া যুবক আটকের পর তার পরিবারের সাথে সাক্ষাতের সময় বলেছিলেন: ‘সৌদি কর্তৃপক্ষ তাকে এবং অপর দুই যুবককে অমানবিক নির্যাতনের পর তাদেরকে মিথ্যা স্বীকারোক্তি লিখতে বাধ্য করেছে’। আর ঐ মিথ্যা স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে সৌদি আরবের কথিত আদালত।
আলী আন-নেমেরে’র ভাষ্যমতে, তার এবং অপর দুই শিয়া যুবকের দায়িত্ব ছিল মিছিলে অংশগ্রহণকারী জনতার মাঝে পানির বোতল বিতরণ করা এবং আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা। এর বাইরে ২০১২ সালে কাতিফসহ সৌদি আরবের অন্যান্য শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় গণবিক্ষোভে তাদের আর কোন তৎপরতা ছিল না।
এদিকে, বার্লিনে অবস্থিত এক মানবাধিকার সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা সৌদি এ ৩ কিশোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে: আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অনুর্ধ্ব ১৮ বছরের কিশোরদেরকে, ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে তাদের কোন কর্মের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায় না। অথচ ২০১২ সালে আটককৃত আলী আন-নেমের ও অপর দুই কিশোরের বয়স ১৮-এর কম থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী। এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর রোধে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সৌদি আরবের প্রখ্যাত শিয়া নেতা ও বিশিষ্ট আলেম ‘শাইখ নেমের বাকের আন-নেমেরসহ ১০৮ জন শিয়া মুসলিমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে স্বৈরাচারী সৌদি সরকার। ঐ সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে আলে সৌদের নীতি বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণের অভিযোগ এনে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।#
source : abna24