আবনা ডেস্ক: অধিকাংশ গো-রক্ষকই সমাজের শত্রু এবং তারা গো-রক্ষার আড়ালে নিজেদের অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গো-রক্ষার নামে জনগণের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি ‘ক্ষুব্ধ’ এবং এ ধরনের যে কোনও ঘটনা তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন মোদী।
রাজধানী দিল্লিতে শনিবার এক জনসভায় দেওয়া ভাষণে মোদী ভারতজুড়ে রাজ্য সরকারকে গো-রক্ষার নামে হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস গোরক্ষার নামে হামলায় জড়িতদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সমাজবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত এবং নিজেদের রক্ষা করতে তারা গো-রক্ষাকারীর মুখোশ ধারণ করেছে।”
গত মাসে হিমাচল প্রদেশের উনা জেলায় গরুর চামড়া ছাড়ানোর চেষ্টা করার সময় ‘গো-রক্ষক’ কমিটির লোকজন দলিত সম্প্রদায়ের চারজনকে গাড়ির সঙ্গে বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যায় এবং তাদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়।
নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গুজরাটে দলিত সম্প্রদায়ের লোকজন বিক্ষোভ করে।
তাদের দাবি, ওই চারজন গোহত্যা করেনি। তারা মৃত গরুর দেহ থেকে শুধু চামড়া ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল।
এ নিয়ে সংসদেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করায় মোদীকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে গরু হত্যা নিষিদ্ধ।
সমালোচনাকারীদের মতে, হিন্দু ভোটারদের খুশি রাখতে মোদী গো-রক্ষার নামে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেন না।
জুলাইয়ে গরুর মাংস বহন করার অভিযোগ তুলে দুই মুসলিম নারীকে মারধর করা হয়।
গত বছর গরুর মাংস ভক্ষণ করেছেন এবং গরু নির্যাতন করেছেন অভিযোগে কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটে।
ওই সময়ও এ বিষয়ে নিশ্চুপ ছিলেন মোদী।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, উগ্রবাদী হিন্দুরা গোরক্ষায় আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোদী সরকারকে চাপ দিচ্ছে।
source : abna24