আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: ইয়েমেনের উপর সৌদি আরবের উপর্যপুরি বিমান হামলা ও সৌদি বাহিনী’র সাথে সংঘর্ষে সৈন্যদের হতাহতের বিষয়টি উপেক্ষা করে অগ্রসর অব্যাহত রেখেছে ইয়েমেনের গণ ও সেনাবাহিনী।
ইয়েমেনের গণ ও সেনাবাহিনীর কাছে বিদ্যমান এবং ইয়েমেনের যুদ্ধ বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ছবির মাধ্যমে জানা গেছে যে, ইয়েমেনি যোদ্ধারা সৌদি আরবের নাজরান প্রদেশের আত-তালআ ও আসীর প্রদেশের আর-রুবুয়া এলাকায় বেশ কয়েকজন সৌদি সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং তাদের কয়েকটি গাড়ীও ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে তারা।
ইয়েমেনের উচ্চতর রাজনৈতিক পরিষদের প্রধান ‘সালেহ আল-সামাদ’ বলেছেন: সৌদি সীমান্ত অভ্যন্তরে আনসারুল্লাহ বাহিনী’র হামলা সৌদি ভূখণ্ড দখল করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে না, বরং আমরা চাই বোমা বর্ষণ ও আগ্রাসনের কারণে ইয়েমেনের জনগণ যে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি, সৌদি আরবেরও সে তিক্ত অভিজ্ঞতা হোক।
তিনি বলেন: জনপদের উপর বোমা বর্ষণ বন্ধের পরিবর্তে সীমান্তবর্তী এলাকায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতা থেকে পশ্চাদপসারণ করেছে সৌদি আরব। কিন্তু আমরা এখনো আগের ন্যায় সন্ধি ও সংলাপের দরজা খুলে রেখেছি। আমরা সর্বদা বিষয়টিকে স্বাগত জানাই।
ইয়েমেনের উচ্চতর রাজনৈতিক পরিষদের প্রধান বলেন: সন্ধির বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলেরও একান্ত চাওয়া। আগ্রাসন বন্ধ এবং ইয়েমেনের জনগণের উপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করার লক্ষ্যে আমরা কোন সুযোগকেই হাতছাড়া করতে চাই না।
ইয়েমেনের উপর আগ্রাসন বন্ধের লক্ষ্যে পূনরায় সংলাপ শুরু করার বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করে সালেহ আল-সামাদ বলেন: তবে ইয়েমেনের পদত্যাগকৃত পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দু রাব্বি মানসুর হাদী’র সাথে সম্পৃক্ত সৌদি আরবের ভাড়াটে সৈন্যদের হামলার মোকাবিলার বিষয়ে আমাদের অধিকার সংরক্ষিত।
আস-সামাদ আরো বলেন: আগ্রাসন বন্ধ ও অবরোধ প্রত্যাহারের লক্ষ্যে প্রদত্ত সকল প্রস্তাবের প্রতি আমাদের আচরণ থাকবে ইতিবাচক।
তিনি বলেন: যখন দৈনন্দিন আমাদের শহরগুলো উপর্যপুরি বিমান হামলার শিকার হচ্ছে তখন আত্মরক্ষার অধিকার আমাদের রয়েছে, এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়।
গতবছরের গোড়ার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় সৌদি আরবের নেতৃত্বে কয়েকটি আরব দেশ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে এ আগ্রাসন শুরু করে। ইয়েমেনের পদত্যাগকারী পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দু রাব্বি মানসুর হাদীকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা এবং দেশের বিভিন্ন শহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ইয়েমেনের বিপ্লবীদের হাত থেকে ক্ষমতা অপসারণের লক্ষ্যেই সৌদি আরবের এ আগ্রাসন।
সৌদি জোট বাহিনী’র বর্বর হামলায় এ নাগাদ শত শত লোক হতাহত হয়েছে; যাদের বিরাট অংশ নারী ও শিশু। পাশাপাশি দেশটির হাজার হাজার লোক গৃহহারা হয়েছে এবং দেশটির অবকাঠামো প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।#