আবনা ডেস্ক: পবিত্র হজ অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ও বর্তমান বিশ্বে ইসলামী বিপ্লবের প্রধান কাণ্ডারি হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এক গুরুত্বপূর্ণ বাণী দিয়েছেন সারা বিশ্বের মুসলমান ও হজযাত্রীদের উদ্দেশে। এ বাণীতে তিনি ‘ইব্রাহিমি’ হজকে বিশ্বের বলদর্পি শক্তিগুলোর মোকাবিলায় মুসলিম উম্মাহর মর্যাদার প্রতীক বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি গত বছরের হজের সময় মিনায় সংঘটিত মর্মান্তিক বিপর্যয়ের আলোকে মুসলিম সরকার ও জাতিগুলোকে সম্বোধন করে বলেছেন, মুসলিম বিশ্বের সরকার ও জাতিগুলোসহ সবার উচিত সৌদি শাসকগোষ্ঠীকে ভালোভাবে চেনা। তিনি আরও বলেন, "এই শাসকগোষ্ঠী মুসলিম বিশ্বে যে অপরাধযজ্ঞ করেছে সে কারণে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া উচিত হবে না। একইসঙ্গে তাদের উচিত দুই পবিত্র স্থান তথা হারামাইন শরিফাইন ও হজ পরিচালনার ব্যাপারেও মৌলিক চিন্তাভাবনা করা।"
এখানে আমরা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর এবারের (২০১৬) হজবাণীর পুরো অনুবাদ তুলে ধরছি:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সব প্রশংসা কেবলই বিশ্বজগতের প্রভু তথা প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। আর মহান আল্লাহর দরুদ বর্ষিত হোক আমাদের নেতা মুহাম্মাদ (সা) ও তাঁর নিষ্পাপ আহলে বাইতের ওপর এবং তাঁর পছন্দনীয় সঙ্গীদের ওপর ও তাঁদের ওপর যারা বিচার-দিবস পর্যন্ত এই মহান ব্যক্তিদের অনুসারী।
( وَ الحَمدُ لِلّهِ رَبِّ العالَمین وَ صَلَّی اللّهُ عَلی سَیّدِنا مُحَمَّدٍ وَ آلِهِ الطَّیِّبینَ وَ صَحبِهِ المُنتَجَبین وَ مَن تَبِعَهُم بِاِحسانٍ اِلی یَومِ الدّین)
সারা বিশ্বের মুসলিম ভাই ও বোনেরা!
মুসলমানদের জন্য হজ মর্যাদা ও গৌরবের এক মৌসুম যা সব মানুষের দৃষ্টিতেই স্পষ্ট। এ মৌসুম অন্তরকে আলোকিত করার এবং মহান আল্লাহর সমীপে নিজেকে বিনম্র করার ও দোয়া আর কাকুতি -মিনতির ঋতু।
হজ এক পবিত্র, পার্থিব, খোদায়ি ও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্রত। মহান আল্লাহ যেমনটি সুরা বাকারার ২০০ নম্বর আয়াতের অংশ-বিশেষে বলেছেন: «فَاذکُرُوا اللّهَ کَذِکرِکُم ءابآءَکُم اَو اَشَدَّ ذِکرًا»
তোমাদের বাপ-দাদারা যেভাবে আল্লাহকে স্মরণ করত স্মরণ কর তাঁকে সেভাবে, বরং তার চেয়েও গভীরভাবে। সুরা বাকারার ২০৩ নম্বর আয়াতের একাংশে মহান আল্লাহ বলেছেন, «وَ اذکُرُوا اللّهَ فی اَیّامٍ مَعدوداتٍ» নির্দিষ্ট দিনগুলোতে স্মরণ কর আল্লাহকে। অন্যদিকে সুরা হজের ২৫ নম্বর আয়াতের একাংশে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘মসজিদুল হারাম হচ্ছে এমন এক স্থান যা আমরা তৈরি করেছি জনগণের জন্য সমানভাবে, তা তারা সেখানকার স্থানীয় অধিবাসী কিংবা দূর অঞ্চলের জনগণই হোক, (সবার জন্য তা সমান)। এইসব আয়াত হজের বিচিত্রময় ও অশেষ দিকগুলো স্পষ্ট করে দেয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেছেন, এই নজিরবিহীন ব্রতে স্থান ও কালের নিরাপত্তা এক স্পষ্ট নিদর্শন ও তা জ্বলজ্বল তারকার মতই মানুষের হৃদয়ে দেয় প্রশান্তি এবং তা হাজিকে প্রত্যেক মানুষের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী ও আধিপত্যকামী জালিমদের সৃষ্ট নিরাপত্তাহীনতার নানা চালিকাশক্তির অবরোধ থেকে মুক্ত করে। ফলে হাজি নিরাপত্তার আনন্দ উপভোগ করেন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।
ইসলাম যে ইব্রাহিমি (প্রকৃত) হজ মুসলমানদেরকে উপহার দিয়েছে তা গৌরব, আধ্যাত্মিকতা, ঐক্য ও মর্যাদার প্রতীক। এই হজ ইসলামের শত্রু ও অমঙ্গলকামীদের কাছে তুলে ধরে মুসলিম উম্মাহর মহত্ত্ব বা বিশালত্ব ও মহান আল্লাহর অশেষ শক্তির ওপর তাদের নির্ভরতা। এ ছাড়াও তা স্পষ্ট করে দেয় বলদর্পি আর বিশ্ব-মোড়লদের পক্ষ থেকে মানবজাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া দুর্নীতি, লাঞ্ছনা ও জুলুমের চোরাবালি থেকে মুসলিম উম্মাহর দূরত্বকে।
(প্রকৃত) ইসলামী ও তাওহিদি হজ হচ্ছে সুরা ফাতহের ২৯ নম্বর আয়াতের একাংশে বর্ণিত «اَشِدّآءُ عَلَی الکُفّارِ رُحَمآءُ بَینَهُم» শীর্ষক বক্তব্যের প্রতীক যার অর্থ হল, মুসলমানরা পরস্পরের প্রতি দয়ার্দ্র ও কাফির বা অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর। এই হজ হচ্ছে মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার এবং মু’মিনদের সঙ্গে ঐক্য ও ভালবাসা জোরদারের স্থান।
যারা হজকে নিছক ধর্মীয় প্রমোদ-ভ্রমণের পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে এবং ইরানের মু’মিন ও বিপ্লবী জাতির প্রতি তাদের শত্রুতা আর ক্ষোভকে লুকিয়ে রেখেছে ‘হজের রাজনীতিকরণ’ শিরোনামের আড়ালে তারা ক্ষুদ্র ও অপমানিত শয়তান মাত্র। তারা বড় শয়তান আমেরিকার অশুভ লক্ষ্যগুলোকে বিপদাপন্ন হতে দেখা মাত্রই কাঁপতে থাকে।
সৌদি শাসকগোষ্ঠী এ বছর ‘আল্লাহর পথে ও মসজিদুল হারামের পথে’ সৃষ্টি করেছে বাঁধ এবং ইরানের মু’মিন ও সাহসী হাজিদের জন্য তাদের প্রেমাস্পদের ঘরে যাওয়ার পথ বন্ধ করেছে। এই সৌদি শাসকগোষ্ঠী হল বিভ্রান্ত ও কলঙ্কিত কিছু লোক যারা তাদের জুলুম-অবিচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত রাজ-সিংহাসনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাকে বিশ্ব-সাম্রাজ্যবাদী-দাম্ভিক শক্তিগুলোর স্বার্থ রক্ষা ও ইহুদিবাদ আর আমেরিকার সঙ্গে জোটবদ্ধতা এবং তাদের ইচ্ছাগুলো পূরণের চেষ্টার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করছে। আর এই প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে তারা যে কোনো ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা করতেও লজ্জা বোধ করে না।
মিনা ট্রাজেডি
মিনার ভয়াবহ ঘটনার পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হয়েছে। যে ঘটনায় ঈদের দিন ইহরাম বাধা অবস্থায় প্রখর রোদের মধ্যে তৃষ্ণার্ত কয়েক হাজার মানুষ নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছে। এর কিছু দিন আগেই মসজিদুল হারামেও এক দল হাজী ইবাদতরত অবস্থায় অর্থাৎ তওয়াফ ও নামাজ পড়ার সময় নিহত হয়েছেন। এ দুই ঘটনার জন্যই দায়ী হলো সৌদি শাসকরা। দু'টি ঘটনার জন্যই যে সৌদি শাসকরা দায়ী সে বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী,পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকসহ সবাই একমত। এছাড়া কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ এ সন্দেহও প্রকাশ করেছেন যে, ঘটনা ঘটানো হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে।
(তবে) অর্ধমৃত আহতদেরকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে তাদের বিলম্ব ও অবহেলার বিষয়টি নিশ্চিত ও প্রমাণিত। এসব ব্যক্তি ঈদুল আজহার দিন মোহিত হৃদয় ও আত্মা দিয়ে আল্লাহর জিকির করছিলেন এবং কুরআনের আয়াত পাঠ করছিলেন। কিন্তু সৌদি আরবের নির্দয় ও অপরাধী ব্যক্তিরা এসব আহত হাজীকেও মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে তালাবদ্ধ কন্টেইনারগুলোতে আটকে রাখে এবং চিকিৎসা তথা সাহায্য এমনকি তৃষ্ণার্ত ঠোটগুলোতে পানি দেয়ার পরিবর্তে তাদেরকে শহীদ করা হয়।
ওই ঘটনায় বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার পরিবার তাদের প্রিয় মানুষগুলোকে চিরতরে হারিয়েছে। জাতিগুলো হয়েছে শোকার্ত। শহীদদের মধ্যে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রায় পাঁচশ হাজী ছিলেন। এসব শহীদের পরিবারগুলো এখনও শোকে মুহ্যমান এবং আমাদের জাতি এখনও দুঃখ-ভারাক্রান্ত ও ক্ষুব্ধ।
(কিন্তু) সৌদি শাসকরা এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা, দুঃখ প্রকাশ ও সরাসরি জড়িত অপরাধীদের বিচারের পরিবর্তে চরম নির্লজ্জভাবে ও ধৃষ্টতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ইসলামি সত্য-সন্ধানী কমিটি গঠন করা থেকেও বিরত থেকেছে। তারা নিজেদেরকে অভিযুক্তের স্থানে দাঁড় না করিয়ে অভিযোগকারী সেজেছে। তারা ইসলামি প্রজাতন্ত্র এবং কুফরি ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মোকাবিলায় উড্ডীয়মান যে কোনো ইসলামি পতাকার বিরুদ্ধে পুরনো শত্রুতাকে আরও বেশি ঔদ্ধত্য ও বিদ্বেষপূর্ণভাবে প্রকাশ করেছে।
তাদের প্রচারণা যন্ত্রগুলো বিশেষ করে ইহুদিবাদী ও মার্কিনীদের সামনে যেসব রাজনীতিবিদের আচরণ মুসলিম বিশ্বের জন্য কলঙ্কজনক, হারামখোর যেসব মুফতির মনে আল্লাহভীতি নেই ও যারা প্রকাশ্যে কুরআন ও সুন্নাহ পরিপন্থি ফতোয়া দেয় এবং চাপরাশি গণমাধ্যমগুলো যাদের বিবেক পর্যন্ত তাদেরকে মিথ্যা খবর তৈরি ও তা প্রচারে বিরত রাখতে পারে না তারা এ বছর ইরানি হাজীদেরকে পবিত্র হজব্রত পালন থেকে বিরত রাখার জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে দায়ী করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে।
ফেতনা সৃষ্টিকারী যেসব শাসক তাকফিরি ও শয়তানি গোষ্ঠীগুলোকে সৃষ্টি ও অস্ত্রসজ্জিত করে মুসলিম বিশ্বকে গৃহযুদ্ধে ঠেলে দিয়ে নিরপরাধ মানুষদের হতাহত করছে এবং ইয়েমেন, ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়াসহ আরো কিছু দেশে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে; আল্লাহ-খোদা সম্পর্কে সম্পূর্ণ বেখবর যেসব রাজনীতিবিদ ইহুদিবাদী ইসরাইলের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ও ফিলিস্তিনিদের অবর্ণনীয় দুঃখকষ্ট উপেক্ষা করছেন এবং বাহরাইনের শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত জুলুম ও নির্যাতনের বিস্তার ঘটিয়েছেন, যেসব ধর্মহীন ও বিবেকহীন শাসক মিনা বিপর্যয় সৃষ্টি করেছেন ও হারামাইন শরীফের সেবা করার অজুহাতে আল্লাহ নির্ধারিত নিরাপত্তার সীমারেখা লঙ্ঘন করেছেন এবং আল্লাহর মেহমানদেরকে ঈদুল আজহার দিন মিনায় ও তার আগে মসজিদুল হারামে কুরবানি করে দিয়েছেন তারা আজ হজের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক না থাকার দাবি করছেন এবং নিজে যে গোনাহ করেছেন সেজন্য অন্যকে দায়ী করার চেষ্টা করছেন। তারা পবিত্র কুরআনের সুস্পষ্ট আয়াতে প্রদত্ত উদাহরণের মতো যেখানে মহান আল্লাহ বলছেন:
“যখন ফিরে যায় তখন চেষ্টা করে যাতে সেখানে অকল্যাণ সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও প্রাণনাশ করতে পারে। আল্লাহ ফ্যাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না।”
“আর যখন তাকে বলা হয়, আল্লাহকে ভয় কর, তখন তার পাপ তাকে অহঙ্কারে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং তার জন্যে জাহান্নামই যথেষ্ট। আর নিঃসন্দেহে তা নিকৃষ্টতর ঠিকানা।”
পবিত্র কা'বা
বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে এ বছরও ইরানিসহ আরও কোনো কোনো দেশের হাজীদের হজ করার ওপর প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য দেশের হাজীদের ওপরও মার্কিন এবং ইসরাইলি গোয়েন্দা বাহিনীর সহযোগিতায় অস্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ ও সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। ঐশি নিরাপত্তার চাদরে আবৃত আল্লাহর ঘরকে সবার জন্য অনিরাপদ করে তোলা হয়েছে।
দেশ, জাতি ও সরকার নির্বিশেষে বিশ্বের সকল মুসলমানের উচিত সৌদি শাসকদের চেনা এবং তারা যে বেইমান ও সম্মান বিনষ্টকারী,পার্থিব স্বার্থ ও বস্তুতান্ত্রিকতার মোহে বুঁদ হয়ে থাকে সে বিষয়টি উপলব্ধি করা। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারা যে অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ওই অন্যায় ও জুলুমপূর্ণ আচরণের জবাব না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে না। আল্লাহর ঘরের মেহমানদেরকে তারা যেভাবে ঐশি ভোজে আপ্যায়ন করেছে-অর্থাৎ জুলুমপূর্ণভাবে হামলা চালিয়ে হতাহত করেছে-সে কারণে হারামাইন শরিফাইনসহ হজ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার মতো মৌলিক বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করতে হবে। এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে কিংবা কোনোরকম গড়িমসি করা হলে মুসলিম উম্মাহর ভবিষ্যত ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখিন হবে।
মুসলিম ভাই ও বোনেরা! এ বছর হজ করতে আগ্রহী খোদাভীরু ও আন্তরিক ইরানি হাজীরা হজ করতে পারে নি। হজের পবিত্র অঙ্গনে তাদের জায়গাটা ফাঁকা। সশরীরে তারা সেখানে না থাকলেও তাদের অন্তর কিন্তু সেখানে উপস্থিত রয়েছে ঠিকই। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ পালন করতে আসা আল্লাহর অতিথিদের সঙ্গেই তারা রয়েছে, তাদের অবস্থা নিয়েও ইরানিরা উদ্বিগ্ন। তারা তাই আল্লাহর দরবারে দোয়া করছে অভিশপ্ত ওই তাগুতিরা যেন তাদের কোনোরকম ক্ষতি করতে না পারে।
ইরানি ভাই বোনেরা! আপনারা আপনাদের সকল সমস্যার কথা আপনাদের দোয়া, ইবাদাত এবং মোনাজাতে আল্লাহর কাছে বলুন। মুসলিম সমাজের তাবৎ জটিলতা ও সংকট যেন মুছে যায়, সেইসঙ্গে ইহুদিবাদি ইসরাইলসহ বলদর্পি শক্তিগুলো এবং তাদের ক্রীড়নকদের হাত যেন সংকুচিত হয় সেজন্যও দোয়া করুন।
গত বছর মাসজিদুল হারাম এবং মিনায় শহীদ হয়েছে আমি তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। স্মরণ করছি ১৯৮৭ সালের মক্কার শহীদদের। মহান আল্লাহর দরবারে তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তাদের দান করেন সর্বোচ্চ মর্যাদা। সালাম জানাচ্ছি ইমাম মাহদি (আ) এর প্রতি। সেইসঙ্গে প্রত্যাশা করছি, তিনি যেন মুসলিম উম্মাহর পরিস্থিতির উন্নতির জন্য এবং শত্রুদের ফেতনা ও শত্রুতার হাত থেকে মুসলমানদের মুক্তি পাবার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন।
ওয়াবিল্লাহিত তাওফিকি ও আলাইহিত তুকালান
সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী
source : abna24