আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: গতকাল (মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর) রাতে ৫ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী স্থানীয় সময় ৭:৩০ মিনিটে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের ঐ স্থানে হামলা চালায়।
সামরিক পোশাকধারী ঐ পাঁচ সন্ত্রাসী ‘যেয়ারতে সাখি’ যেয়ারতগাহ’র রক্ষীদেরকে হত্যার পর ইমাম হুসাইন (আ.) এর আযাদারীতে অংশগ্রহণকারী আযাদারদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এরপর ঐ যেয়ারতের স্থান থেকে বিস্ফোরণের একটি বিকট শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।
প্রাপ্ত সর্বশেষ রিপোর্টের ভিত্তিতে, ঐ হামলায় অংশগ্রহণকারী সকল সন্ত্রাসীই আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় ১৪ জন বেসামরিক লোক শহীদ এবং নারী ও শিশুসহ অন্তত ৪১ জন আহত হয়েছে। আহতদের অধিকাংশকে আলী আবাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শবে আশুরা (৯ মহররম দিবাগত রাত) ইমাম হুসাইন (আ.) এর জন্য শোক পালনের উদ্দেশ্যে আয়োজিত শোক মজলিশে অংশগ্রহণের জন্য ঐ যেয়ারতের স্থানে সমবেত হয়েছিলেন আযাদাররা।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন দল বা ব্যক্তি ঐ হামলার দায় স্বীকার না করলেও বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠি দায়েশ ইতিপূর্বে আযাদারীর অনুষ্ঠানগুলোতে হামলার হুমকি দিয়েছিল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সৈন্য সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন: সামরিক পোশাক পরে প্রথমে এক সন্ত্রাসী যেয়ারতগাহ’র প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে। এরপর অপর ৪ সশস্ত্র সন্ত্রাসী বিস্ফোরক দ্রব্য হাতে নিয়ে ঐ যেয়ারতগাহ’তে প্রবেশ করে আযাদারীতে ব্যস্ত ব্যক্তিদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।
আফগান প্রেসিডেন্ট ‘মুহাম্মাদ আশরাফ গনি’ এক বার্তায়, পবিত্র স্থানে ইমাম হুসাইন (আ.) এর আযাদারদের উপর হামলার ঘটনাকে মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন। বার্তায় তিনি বিভেদ-বিচ্ছেদ সৃষ্টিকারী সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের বিপরীতে শিয়া ও সুন্নি আলেমদের সতর্ক থাকার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আফগান প্রেসিডেন্ট আরো জানান: আশুরার শোকানুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী আযাদারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার।
source : abna24