আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: ইয়েমেন সেনাবাহিনীর গণসংযোগ বিভাগ, গতকাল (শনিবার, ১২ নভেম্বর) সৌদি আরবের আসির প্রদেশের দক্ষিন-পশ্চিমে অবস্থিত আল-নামসা সামরিক এলাকায় ইয়েমেনের গণ ও সেনা বাহিনীর নতুন বিজয়ের ছবি প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত ছবিতে ইয়েমেনের গণ ও সেনা বাহিনীর সদস্যদেরকে সৌদি আরবের আল-নামসা সামরিক ঘাঁটি দখলের পর সেখানে ইয়েমেনের পতাকা ওড়াতে দেখা গেছে। এ অভিযানে বেশ কয়েকজন সৌদি সেনা হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ঐ ঘাঁটিতে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের সরঞ্জাম ফেলে পালিয়েছে সৌদি সৈন্যরা।
অভিযানের সময় গৃহীত এক ভিডিওতে দেখা গেছে যে, ইয়েমেনি সেনারা আল-নামসা ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছে এবং এতে সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন সৈন্য নিহত হয়েছে।
ঐ ঘাঁটি থেকে ইয়েমেনি সেনারা যে সকল অস্ত্র-শস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হ্যান্ড গ্রেনেড, মেশিগানের বুলেট এবং আর পি জি।
ভিডিও ক্লিপটির শেষাংশে ইয়েমেনি সৈন্যদেরকে ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’, ‘ইসরাইল নিপাত যাক’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এদিকে সামরিক এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে আল-মাসিরা টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, আল-জাওফ প্রদেশের ‘খাব’ ও ‘আল-আশাফ’ এলাকায় ইয়েমেনের পদত্যাগকৃত প্রেসিডেন্ট আব্দুর রাব্বাহ মানসুর হাদি’র সমর্থকদের হামলাকে প্রতিহত করেছে ইয়েমেনের গণ ও সেনা বাহিনী। এতে মানসুর হাদির বহু সমর্থক নিহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকটি দেশের সহযোগিতায় সৌদি আরব ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনের উপর সামরিক আগ্রাসন শুরু করে এবং ইয়েমেনের পদত্যাগকৃত প্রেসিডেন্ট আব্দুর রাব্বাহ মানসুর হাদিকে পূণরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে দেশটির জল, স্থল ও আকাশ পথ অবরুদ্ধ করার পদক্ষেপ নেয়। সৌদি আগ্রাসনের শুরু থেকে এ নাগাদ প্রায় ১০ হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছে; যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া সৌদি আরবের মানবতা বিরোধী এ আগ্রাসনে হাজার হাজার লোক আহত হওয়ার পাশাপাশি ইয়েমেনের লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভিটে-মাটি ছাড়া করেছে এবং দেশটির অবকাঠামোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে।#