বরকতময় এ দিনটিতে বেশ কিছু আমল বিভিন্ন রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে।
আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: মহানবী (স.) ১০ম হিজরীর এ দিনে বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার পথে নিজের স্থলাভিষিক্ত নির্ধারণ করেছিলেন এ কারণে মুসলমানদের জন্য এ দিনটি অন্যান্য ঈদ অপেক্ষা কম গুরুত্ববহ নয়। বরকতময় এ দিনটিতে বেশ কিছু আমল বিভিন্ন রেওয়াতের মাধ্যমে আমাদের হস্তগত হয়েছে সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হল:
(১) রোজা রাখা; যা ৬০ বছরের গুনাহের কাফফারা’র সমতুল্য।
(২) গোসল করা।
(৩) যেয়ারতে আমিরুল মু’মিনীন (আ.) পাঠ করা।
(৪) দুই রাকাত নামায আদায় করা। নামাযের নিয়ম: মুস্তাহাব হল গাদীরের দিনে যোহরের পূর্বে দুই রাকাত নামায আদায় করা। উভয় রাকাতেই সূরা হামদের পর ১০ বার করে সুরা তাওহিদ (ইখলাস), সূরা ক্বদর ও আয়াতুল কুরসী পাঠ করা।
(৫) দোয়ায়ে নুদবাহ পাঠ করা।
(৬) মু’মিন ভাইদের সাথে সাক্ষাতের সময় নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করা:
আলহামদু লিল্লাহিললাযী জায়ালানা মিনাল মুতামাসসিকীনা বিবিলায়াতি আমিরিল মু’মিনীন ওয়াল আইম্মাতি আলাইহিমুস সালাম। (অর্থাৎ প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমাদেরকে বেলায়েতে আলী ইবনে আবি তালিব ও নিষ্পাপ ইমামগণ (আলাইহিমুস সালাম) এর অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
(৭) সুন্দর পোশাক পরিধান করা।
(৮) নিজে আনন্দিত থাকা এবং অপরকে আনন্দিত করা।
(৯) অন্যকে ক্ষমা করে দেয়া।
(১০) প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনের সাক্ষাতে যাওয়া ও তাদের খোঁজ খবর নেয়া।
(১১) উপহার দেয়া।
(১২) মানুষের সমস্যাদি দূর করা।
(১৩) মু’মিন ভাই ও বন্ধুদের সাথে সাক্ষাত করা।
(১৪) মহানবী (স.) এবং তাঁর বংশধর (আলাইহিমুস সালাম)-এর উপর অধিক পরিমাণে দরুদ ও সালাওয়াত পাঠ করা।
(১৫) সুগন্ধী ব্যবহার করা।
(১৬) সদকা দেয়া।