আবনা ডেস্ক: মুসলিম মেয়েদের জন্য আলাদা সাঁতারের ক্লাস দেয়া হবে না সুইজারল্যান্ডে। তাদেরকে অবশ্যই ছেলেদের সঙ্গে সাঁতার শিখতে হবে। এমন রায় দিয়েছে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর)। এ রায়ের ফলে সাঁতার শেখার ফলে সুইজারল্যান্ডে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা সাঁতারের ক্লাসের ব্যবস্থা থাকছে না। ছেলেমেয়ের সম্মিলিত সাঁতারের ক্লাসে মেয়েদের পাঠাতে বাধ্য হবেন মুসলিম পিতামাতারা। ইসিএইচআর-এর সাত বিচারকের প্যানেল বলেছে, আলাদা সাঁতারের ক্লাস বাতিল করায় হয়তো ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হয়। কিন্তু সামাজিক একত্রীকরণের ক্ষেত্রে এটা করা বৈধ। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে আইনী চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত সুইস দম্পতি। তারা সুইজারল্যান্ডের বাসেল-এ বসবাস করেন। তারা হলেন আজিজ ওসমানোগলু ও সেহাবাত কোকাবাস। এ দম্পতি তাদের মেয়েদের ছেলেমেয়ের মিশ্রণে চলা সাঁতারের ক্লাসে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছিলেন। তারা দাবি করছিলেন, ধর্মের বিধিনিষেধের কারণে তারা তাদের মেয়েদের এমন ক্লাসে অংশ নিতে দিতে পারেন না। এ বিষয়ে বাসল আরবানের শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তারা তাদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, যদি তারা মেয়েদের ওই ক্লাসে যোগ দিতে না দেন তাহলে প্রতিজনকে ৮১৩ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। এ বিষয়ে ওই দম্পতিকে তাদের সন্তানের স্কুল থেকে পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তারা বাধ্যতামুলক এ ক্লাসে মেয়েদের পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মেয়েদের সাঁতার শেখার ওই নিয়মের বিরুদ্ধে এ দম্পতি আপিল করেছিলেন বাসেল আদালতে। তা প্রত্যাখ্যাত হয়। পরের বছর ২০১২ সালে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় আদালত তাদের আরও একটি আপিল প্রত্যাখ্যান করে। এরপর তারা আইনি চ্যালেঞ্জ জানান ইসিএইচআর-এ। এতে তারা দাবি করেন, ছেলেমেয়েদের যৌথ সাঁতারের ক্লাসে তাদের মেয়েদের পাঠানো ইউরোপিয়ান কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস-এর অনুচ্ছেদ ৯ লঙ্ঘন করে। কিন্তু তাদের এ আবেদন সর্বসম্মতক্রমে প্রত্যাখ্যান করে ইসিএইচআর। বলা হয়, এতে ধর্মীয় স্বাধীনতার কোনোই লঙ্ঘন হয় না। সুইজারল্যান্ড সামাজিক একত্রীকরণে বিশ্বাস করে।