আবনা ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের একটি গ্রামে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামীদের রাতভর বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন অস্ত্রধারী নিহত হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে তিনটি এক-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে একটি বাড়িতে তিন সশস্ত্র যোদ্ধার উপস্থিতির খবর পেয়ে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হানা দিলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। খবর এএফপির।
নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে খবর ছিল, পহেলগাঁওয়ের আবুরা গ্রামে ঘাঁটি গেড়েছে জনাকয়েক স্বাধীনতাকামী। সন্ধ্যায় গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। সে সময় গুলি চালাতে শুরু করে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিরা। জবাব দেন জওয়ানরাও। সকালে উদ্ধার হয় ৩ জঙ্গির লাশ।
সোমবার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রাজেশ কালিয়া বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যায় পহেলগাঁওয়ের ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে সেনারা। এরপর উভয়পক্ষে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। পরে বাড়িটি থেকে তিন 'সন্ত্রাসীর' মরদেহ এবং অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সেনা সদস্যরা মর্টার শেল নিক্ষেপ করলে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কয়েক দশক ধরে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপ। এ কারণে সেখানে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের জুলাই মাসে জনপ্রিয় তরুণ বিদ্রোহী নেতা বোরহান ওয়ানি ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় অশান্ত হিমালয়ান উপত্যকাটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
কাশ্মীর হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত একটি জনপদ যার সম্পূর্ণ এলাকার দাবিদার উভয় দেশ।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণের জন্য এ পর্যন্ত দু'বার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।