আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাজধানী তেহরানে আয়োজিত ‘কুরআন ও মানবিক বিজ্ঞান’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কংগ্রেসের প্রাক কংগ্রেস হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আম্বিয়া প্রেরণের উদ্দেশ্য এবং মানবিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাঁদের অবদান’ শীর্ষক এ সম্মেলন।
রাজধানীর গণ্যমান্য আলেমদের উপস্থিতিতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন গতকাল (শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টায় শুরু হয়ে ৫:৩০ মি. পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও নাত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহছানিয়া সুফি ইনিস্টিটিউটের পরিচালক আলহাজ্ব মুহাম্মাদ ইসমাঈল মিঞা। এছাড়া এতে বক্তব্য রাখেন আহছানিয়া সুফি ইনিস্টিটিউটের সিনিয়র লেকচারার জনাব শেইখ উসমান গনি, বিশিষ্ট আলেম জনাব মাও. আব্দুর রাজ্জাক এবং আল-মুস্তাফা (স.) ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কান্ট্রি ডিরেক্টর হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন জনাব ড. হাসান আমির আনসারি।
আল-মুস্তাফা (স.) ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কান্ট্রি ডিরেক্টর হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন জনাব ড. হাসান আমির আনসারি তার বক্তব্যে আম্বিয়া প্রেরণের ১২টি উদ্দেশ্য সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কিনোট পেপার উপস্থাপন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন ড. আব্বাস ওয়ায়েজি দেহনাভি।
ড. আব্বাস দেহনাভি বলেন: যে সকল বিষয় বিজ্ঞানীরা কয়েকশ’ বছর আগে আবিস্কার করেছেন বা ইদানিং আবিস্কার করছেন, পবিত্র কুরআন তা ১৪০০ বছর আগে বর্ণনা করে গেছে। বর্তমান সময়ের বিভিন্ন আবিস্কারের বিষয়ে পবিত্র কুরআন আগেই যে সব ইঙ্গিত করে গেছে সে সকল বিষয় সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে অবগত করা জরুরি। কারণ তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন; যেমন ধরা যাক, তারা আকাশে বিমান উড়তে দেখে ভাবে এগুলো জাপান ও আমেরিকাসহ এমন কিছু দেশ তৈরী করেছে যারা অমুসলিম, তাহলে ইসলাম ধর্মে কি এ সকল জ্ঞান নেই? মহাকাশে যারা যাচ্ছেন তারাও অমুসলিম, তাহলে কি ইসলাম ধর্মে এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা আসেনি।
পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের উপর আলোকপাত করে ইসলামি ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন যে, মহান আল্লাহ্ ১৪০০ বছর আগে এ সকল বিষয়ের ইঙ্গিত পবিত্র কুরআনে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সম্মেলনটি আল-মোস্তফা (স.) ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও আহছানিয়া সুফি ইনিস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হুজ্জাতুল ইসলাম মীর আশরাফুল আলম এবং ফার্সি থেকে বাংলা অনুবাদের দায়িত্বে ছিলেন হুজ্জাতুল ইসলাম ড. আব্দুল কুদ্দুস বাদশা।#