আবনা ডেস্ক: দুই শতাধিক ধর্ষণ করেছি। শুধু তাই নয়, পাঁচ শতাধিক খুন করেছি। এর মধ্যে তো কোনও অস্বাভাবিক কিছু নেই! চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি এক দায়েশ সন্ত্রাসীর। যা শুনে অনেকের বুক ভয়ে একবার হলেও কেঁপে উঠবে, এমন স্বীকারোক্তিতে নিজের কোনও অনুশোচনার রেশ মাত্র নেই।
দায়েশের এই জঙ্গি বর্তমানে কুর্দ গোয়েন্দা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। এই প্রথম কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দিয়েছিল সংবাদসংস্থাকে। ওই জঙ্গির সঙ্গে জেলে রয়েছে তার এক শাগরেদও। গত অক্টোবরে আইএসআইএসের বিরুদ্ধে কিরকুকে অভিযানের সময় ওই দুজন ধরা পড়েছিল। এরপর থেকেই জেলেই রয়েছে এই দুই জঙ্গি। সেখান থেকে সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে আরও বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিয়েছে এই দায়েশ জঙ্গি।
ওই দায়েশ জঙ্গি জানিয়েছে, তার আমির তাদের ইজাদি ও অন্যান্য মহিলাদের ধর্ষণ করতে ঢালাও অনুমতি দিয়েছিল। সে বলেছে, ‘যুবকদের জন্য তো এটা দরকার’। আর সেই কারণে ইরাকের বিভিন্ন শহরে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে সে ইজাদি ও অন্যান্য মহিলাদের ধর্ষণ করেছে। ইরাকি বাহিনীর কাছ থেকে দায়েশের কবলে ইরাকের বিভিন্ন অংশ চলে আসার সময় এই নৃশংস সন্ত্রাসী সংগঠন যে কী পরিমাণ অত্যাচার চালাত, তা ওই জঙ্গিদের কথাতেই পরিষ্কার।
কুর্দ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জনিয়েছেন, সে যে ধর্ষণ ও খুন করেছে, তার প্রমাণ তাদের কাছে আছে। কিন্ত সে কী পরিমাণে এই অপরাধ করেছে, সে সম্পর্কে কোনও ধারনা এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে নেই। তবে বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শী ও ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে উত্তর ইরাকে আধিপত্য বিস্তারের পর দায়েশ জঙ্গিরা অসংখ্য ইজাদি মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। সেইসঙ্গে যৌনদাসী বানানোর জন্য বহু ইজাদি মহিলাকে অপহরণও করে তারা। ওই মহিলাদের আত্মীয়দের খুনও করেছিল তারা।
শুধু তাই নয়, স্বীকারোক্তিতে আটক ওই দায়েশ জঙ্গি জানায়, ২০১৩ সালে দায়েশে যোগ দেওয়ার পর সে প্রায় ৫০০ জনকে খুন করেছে। সে বলেছে, ‘যাকে গুলি করার দরকার হত গুলি করতাম, যার মাথা কাটা দরকার তার মাথা কেটে নিতাম’। এই বিষয়ে দায়েশ কমান্ডাররা তাকে খুন করার তালিম দিয়েছিল। প্রথমটা কঠিন হলেও পরে খুন করাটা তার কাছে ডালভাত হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে সে। একস