আবনা ডেস্ক : সিরিয়ার বিভিন্ন অবস্থানে প্রচণ্ড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিদ্রোহীদের এলাকায় রাসায়নিক হামলার জবাবে এই আক্রমণ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা বলেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অবস্থানরত ডেস্ট্রয়ার থেকে সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে প্রায় ৫০টি টোমাহক ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই সিরিয়ায় হামলা চালানো হয়েছে।
এর আগের খবরে বলা হয়, রাসায়নিক হামলার জের ধরে সিরিয়ায় দ্রুত সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবছে করছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার ভবিষ্যতের ব্যাপারে বাশার আল আসাদের কোন ভূমিকা থাকতে পারে না বলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষণা দিয়েছে।
সিরিয়া বিরুদ্ধে যেসব সামরিক পদক্ষেপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র, তার মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার বিমানগুলো আর উড়তে না দেয়া আর ক্রুজ মিসাইল হামলা চালিয়ে সিরিয়ার রাডার ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয়া।
তবে কেউ কেউ এখনি সামরিক অভিযানের পক্ষে থাকলেও, অনেকে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি যাচাই করে দেখতে চান। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, সিরিয়ার ভবিষ্যতের বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের আর কোন ভূমিকা থাকতে পারে না।
যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এ সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছিল যে, বাশার আল আসাদের পদচ্যুতির বিষয়টি তাদের সিরিয়া নীতিতে আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। কয়েকদিন আগে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি শহরে রাসায়নিক হামলায় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নিহত হয়।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ২৭টি শিশু রয়েছে। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তোলা হলেও, তা নাকচ করে আসছে দামেস্ক। রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা জানিয়েছে যে, তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।