আবনা ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৬ বিক্ষোভকারী নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে হুররিয়াত কনফারেন্সের প্রধান সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানি, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক এবং জেকেএলএফ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইয়াসিন মালিকসহ সমস্ত আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আগামীকাল (সোমবার) কাশ্মির বনধের ডাক দেয়া হয়েছে।
আজ জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগর লোকসভা লোকসভা কেন্দ্রসহ দেশের অন্য কয়েকটি স্থানে বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন বয়কটকারীরা বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে বিক্ষোভ দেখায়। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেখানকার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আগেই নির্বাচন বয়কটসহ বনধের ডাক দেয়া হয়। ওই ঘটনায় স্বাভাবিক জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পুলিশ প্রশাসন যেকোনো অপ্রিয় ঘটনা এড়াতে এবং গুজব মোকাবিলা করতে মধ্য কাশ্মিরে ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে।
আজ বাডগাম জেলায় বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় এবং পরবর্তীতে গুলি চালায়। কাশ্মিরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা। পুলিশ বলছে, বিক্ষোভকারীরা একটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে হামলা চালায় এবং ইভিএম ভাঙচুর করে ভোট গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করলে গুলি চালানো হয়। তাদের দাবি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে মোতায়েন কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে গুলি চালাতে হয়েছে।
নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনায় বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা এবং সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি রাজ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন।
এদিকে, কাশ্মিরে বেসামরিক ব্যক্তিদের হতাহতের ঘটনায় পাক পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতি জরুরিভিত্তিতে সেখানে রক্তপাত এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। #