আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের গোলেস্তান, সিস্তান ও বেলুচিস্তান, দক্ষিন খোরাসান এবং খোরাসানে রাজাভি’র উলামাসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তৎপর সুন্নি মুসলমানদের একটি দল ‘উম্মত-এ মুহাম্মাদি (স.)’ নামের একটি কাফেলার অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইমাম হুসাইন (আ.) এর চল্লিশার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওনা হয়েছেন।
যাহেদানের গুলজারে শোহাদা’তে (শহীদদের কবরস্থান) প্রায় ৫০ জনের এ কাফেলাটিকে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় জানিয়েছে স্থানীয় জনগণ।
কাফেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ‘মৌলভি রাইসী’, চাবাহার প্রদেশের ‘পির সোহরাব’ শহরের জুমআর খতিব মৌলভি তারাঞ্জিদে, সারাভানের ‘দাহাক’ এলাকার জুমআর খতিব মৌলভি মুহাম্মাদ তাহের কুদ্দুসি, চাবাহার মসজিদের পেশ ইমাম মৌলভি গুল মুহাম্মাদ বাহরামি, হযরত ইব্রাহিম (আ.) মসজিদের পেশ ইমাম মৌলভি ইউসুফ কারগীজ এবং যাহেদান হাওযা ইলমিয়ার শিক্ষক ও মসজিদে আকসা’র পেশ ইমাম মৌলভি বেলাল পিতিঙ্গ।
‘উম্মত-এ মুহাম্মাদি’ (স.) কাফেলাটি ১১ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ইরাকে অবস্থান করবে। নাজাফে আশরাফ শহরে আমিরুল মু’মিনীন ইমাম আলী (আ.) এর মাজারের যেয়ারত করার পর পায়ে হেটে কারবালার উদ্দেশ্যে রওনা হবে কাফেলার সদস্যরা। এরপর চেহলামের যেয়ারত শেষে কারবালা থেকে বাগদাদের উদ্দেশ্যের রওনা হবেন তারা এবং সেখানে ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ও আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) এর মাজার যেয়ারত করবেন।
প্রসঙ্গত, শহীদদের নেতা ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর বিশ্বস্ত সাথীদের শাহাদাত বার্ষিকীর চেহলাম (৪০তম দিন) বিশেষ ভাব-গাম্ভির্যের সাথে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এতে কয়েক কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। দেশ-বিদেশ থেকে আগত আহলে বাইত (আ.) এর প্রেমীরা নাজাফ-কারবালা রুটের প্রায় ৮৫ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে পাড়ি দিয়ে কারবালায় অবস্থিত ইমাম হুসাইন (আ.), হযরত আব্বাস (আ.)সহ কারবালার অন্যান্য শহীদদের মাজার যেয়ারত করেন। আর সেখানেই তারা ইমাম হুসাইন (আ.) ও কারবালার শহীদদের স্মরণে শোক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।#