আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): সৌদি আরবের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় ইয়েমেনি স্নাইপারদের গুলিতে ২০১৭ সালের শুরু থেকে মার্চ মাসের শেষ নাগাদ ১১৯ জন সৌদি সেনা নিহত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইয়েমেন ওয়াচ জানিয়েছে, এ সকল হামলার অধিকাংশই জিজান এলাকায় ঘটেছে এবং ২২ বার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭৪ জন সৌদি সেনা নিহত হয়েছে।
নাজরান অঞ্চলে ৯টি অভিযান চালিয়েছে ইয়েমেনি সৈন্যরা, এতে ৩৫ জন সৌদি সৈন্য নিহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সৌদি আরবের আসির অঞ্চলে চালানো ১০টি হামলায় ৮ সৌদি সেনা নিহত হয়।
গত বুধবার (৫ এপ্রিল) আসির অঞ্চলের ‘আলাব’ ক্রসিংয়ে ইয়েমেনি স্নাইপারদের গুলিতে নিহত হয় আরও ২ সৌদি সেনা।
ইয়েমেনের গণ ও স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর সহযোগিতায় গত সোমবার জিজান অঞ্চলের আল-কারাস ও আল-ফারিদাহ ঘাঁটিতে চালানো ইয়েমেন সেনাবাহিনী হামলায় ২ সৌদি সেনা নিহত হয়।
গত বছরের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০১৫ সালে ইয়েমেনের উপর সৌদি আগ্রাসনের পর থেকে এ নাগাদ (এপ্রিল ২০১৬) সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহে বিভিন্ন সংঘর্ষে অন্তত ৪০০ সৌদি সেনা নিহত হয়েছে।
এদিকে, নিহত সৈন্যদের সংখ্যা ঘোষণার বিষয়ে নিরব থাকার রহস্যজনক নীতি অবলম্বন করেছে আগ্রাসী সৌদি সরকার। সৌদি সামরিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিহত সৈন্যদের সংখ্যা প্রকাশ করা হবে না’।
প্রসঙ্গত, ইয়েমেনের পদত্যাগকৃত প্রেসিডেন্ট আব্দু রাব্বি মানসুর হাদি’কে পূনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে এবং আনসারুল্লাহ মুভমেন্টকে দূর্বল করতে আরব এ দরিদ্র দেশটির উপর সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি আরব। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে এ আগ্রাসন অব্যাহত থাকলেও বিপুল পরিমাণে অর্থ ব্যয় ছাড়া কোন কিছুই হস্তগত হয়নি গণতন্ত্র বিরোধী এবং রাজতন্ত্র ভিত্তিক এ সরকারের।
আর এ আগ্রাসনের ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশটির বেসামরিক জনতা। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অধিকাংশ বিমান হামলাগুলো ইয়েমেনের বিভিন্ন বাজার, আবাসিক ভবন, স্কুল, হাসপাতাল, বিয়ের অনুষ্ঠান, এমনকি মৃত্যু ব্যক্তির কুরআনখানির অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। ফলে দেশটির অবকাঠামো ধ্বংসের মুখে এবং বর্তমানে খাদ্য, পানি ও ঔষধের সংকটে ভুগছে দেশটির লাখ লাখ জনতা#