আবনা ডেস্ক: দক্ষিণ সুদানের গৃহযুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি শিশু বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা। খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ ও শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, উগান্ডা, কেনিয়া, ইথিওপিয়া ও সুদানে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়া ১৮ লাখ দক্ষিণ সুদানবাসীর ৬২ শতাংশই শিশু। এছাড়া, ১০ লাখের বেশি শিশু দক্ষিণ সুদানের মধ্যেই ঘরবাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। ইউএনএইচসিআরের আফ্রিকা পরিচালক ভ্যালেন্টিন টাপ্সোবা বলেন, ‘বর্তমানে ঘটা অন্য যেকোনো শরণার্থী সংকট আমাকে দক্ষিণ সুদান সংকটের মতো চিন্তিত করে তোলে না। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে, এই সংকটের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে এই শরণার্থী শিশুগুলো।’ ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩৫ লাখ মানুষ। প্রায় এক লাখের মতো মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। আরো ১০ লাখ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। জাতিসংঘের তরফে এই ঘোষণা আসার একই দিনে একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, দক্ষিণ সুদানের তৃতীয় আরেকটি কাউন্টি দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। ফ্যামাইন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম নেটওয়ার্ক জানায়, কোচ কাউন্টি এমন ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতিমধ্যে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে লিয়ার ও ম্যায়েন্ডিট কাউন্টিতে। নতুন রিপোর্ট বলছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে কৃষকদের জন্য খরা মৌসুমের সময় দুর্ভিক্ষ আরো ছড়িয়ে যেতে পারে। মানবিক ত্রাণ ছাড়া আরো অনেক এলাকায় দুর্ভিক্ষের ঘোষণা আসতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে রিপোর্টে। আফ্রিকার এ দেশটিতে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি চতুর্থ বছরে পৌঁছেছে। আক্রান্ত কিছু অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছানোর প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চলমান লড়াই ও দুর্ভিক্ষের ফলে বিশ্বের অন্যতম বড় মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে