আবনা ডেস্ক: ভারতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে উপলক্ষ করে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস আবার কাছাকাছি আসছে কি? গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পর এই প্রশ্নটাই বড় হয়ে উঠছে।
বৈঠকের পর মমতা বলেন, দেশের সার্বিক স্বার্থে রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মতভাবে একজন বিরোধী প্রার্থী দাঁড় করানো নিয়ে সোনিয়ার সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। সাত-দশ দিনের মধ্যে আরেক দফা কথা হবে।
সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী পছন্দ করার কাজ শুরু করেন সোনিয়া নিজেই। ইতিমধ্যে তিনি এ বিষয়ে অনেক বিরোধী নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে গতকাল কথা বলেন মমতার সঙ্গে। এই বৈঠকের জন্যই মমতা সোমবার দিল্লি আসেন।
বৈঠকের পর মমতা ১০ জনপথের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, কোনো বিশেষ নাম নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়নি। চেষ্টা চলছে সব দিক খতিয়ে দেখে বিরোধীদের দিক থেকে একজনকে সহমতের ভিত্তিতে বেছে নেওয়ার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের মতো এত বিশাল, বৈচিত্র্যপূর্ণ, এত জাত, এত বর্ণ, এত ভিন্ন ভাষাভাষীর দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে একজন উপযুক্ত ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন। সেই ব্যক্তিত্বপূর্ণ রাষ্ট্রপতির খোঁজেই সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী সব বিরোধী নেতার সঙ্গে কথা বলছেন।
কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক আলোচনাও হয়েছে বলে মমতা জানান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম না করে তিনি বলেন, দেশে আজ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার খেলা চলেছে। কখনো অখিলেশ যাদব, কখনো লালুপ্রসাদ, কখনো চিদাম্বরম, কখনো আমরা—কাউকেই বাদ দেওয়া হচ্ছে না। সবার পেছনে সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে প্রার্থী দিলেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর শক্তির কাছে সেই প্রার্থীর পরাজয় অনিবার্য। সোনিয়া গান্ধীর এই চেষ্টা তাই যতটা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য, তার চেয়ে বেশি ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের জমি প্রস্তুত করতে।