আবনা ডেস্ক: পূর্ব চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমায় মার্কিন বিমানকে ধাওয়া করেছে চীনের জঙ্গিবিমান। বুধবার সুখোই সু-৩০ নামের চীনের দুটো জঙ্গিবিমান মার্কিন বিমানের পথরোধ করে। মার্কিন সামরিক বাহিনী এটাকে ‘অপেশাদারি’ কাণ্ড বলে উল্লেখ করেছে। খবর বিবিসির।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, চীনের একটি জেট এ সময় মার্কিন বিমান ডব্লিউসি-১৩৫ বিমানের মাত্র ১৫০ ফুটের মধ্যে চলে আসে এবং এটার নিচ দিয়ে উড়তে থাকে। একপর্যায়ে মার্কিন বিমানটি এলাকা ত্যাগ করে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তাদের বিমানটি ওই এলাকায় উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করার উদ্দেশ্যেই নিয়মিত টহল দিচ্ছে। কিন্তু চীন অত্যন্ত ‘অপেশাদারি’ মনোভাব দেখিয়েছে। মার্কিন বিমানবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল লোরি হজ বলেন, বিষয়টি সঠিক কূটনৈতিক ও সামরিক যোগাযোগের মাধ্যমে চীনের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।
চীন সাগরের ওই প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ অঞ্চলে অনেক দিন থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরের পুরোটারই মালিকানা দাবি করে আসছে চীন। এই দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে সেখানে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করে চলেছে তারা। নৌবাহিনীর নিয়মিত টহলও অব্যাহত রয়েছে। এ এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর জন্য চীন বৃহস্পতিবার একটি রকেট লঞ্চার মোতায়েন করেছে।
তবে ফিলিপাইনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও এই সমুদ্রসীমার দাবিদার। বুধবারের এ ঘটনা নিয়ে চীন এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে চীনের অভিযোগ, বারবার নিষেধ করার পরও যুক্তরাষ্ট্র তাদের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে।
এর আগে ২০১৬ সালের মে মাসে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন বিমানকে হটিয়ে দেয় চীনা জেট। তখনও যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত টহলে চীনা হস্তক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছিল। মার্কিন বিমানকে এভাবে ধাওয়া করতে গিয়ে একবার বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটে।
২০০১ সালে হাইনান দ্বীপে চীনা জেট ও মার্কিন নেভির গোয়েন্দা বিমানের সংঘর্ষে চীনা পাইলট নিহত হন। মার্কিন গোয়েন্দা বিমানটি দ্বীপে জরুরি অবতরণ করে। ওই সময় চীন সরকার বিমানের ক্রুদের ১১ দিন আটকে রাখে এবং চীন-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।