আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: ফিলিপাইনের দক্ষিনাঞ্চলীয় একটি শহরে তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠি দায়েশের (আইএসআইএস) হামলার পর ট্যাংকসহ যুদ্ধের সরঞ্জামে সজ্জিত হয়ে শহরটির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, মারাভি শহরে অবস্থিত তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ‘ইসনিউলোন হাপিলোনে’র আস্তানায় হামলার ঘটনায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়। শীর্ষ এ সন্ত্রাসী যুক্তরাষ্ট্রের পলাতক সন্ত্রাসীদের তালিকাভূক্ত এবং তাকে হত্যার জন্য ৫০ লক্ষ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
এ অভিযানের ধারাবাহিকতায়, দায়েশের সাথে সম্পৃক্ত সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে সাহায্যের আহবান জানানো হয়। এরপর ২ লক্ষ অধিবাসীর মুসলিম অধ্যুষিত ঐ শহরটির বিভিন্ন অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে দায়েশ সন্ত্রাসীর।
হাপিলোনের আস্তানাটি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি এবং তাকে আটক করা গেছে কিনা সেটাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি না।
এদিকে, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রুদ্রিগো দুতার্তে দেশের দক্ষিনাঞ্চলে অবস্থিত মিন্ডানাও দ্বীপে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং সারা দেশ ব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ফিলিপাইনের সাম্প্রতিককালের ঘটনাবলি, এশীয় এ দেশটি সিরিয়া ও ইরাকে তৎপর দায়েশ সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েছে কিনা –এ বিষয়ে উদ্বেগ বহুগুণে বেড়েছে।
বলা হচ্ছে যে, হাজার হাজার মানুষ মারাভি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে এবং এ শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলে দায়েশের পতাকাও উড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, একটি গীর্জার ধর্মযাজক, গীর্জার ৫ সেবক এবং ১০ জন উপাসনাকারীকে আটকে রেখেছে তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের সদস্যরা।#