আবনা ডেস্কঃ সৌদি আরবসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর অবরোধের কারণে উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতারে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়। তবে বর্তমানে দেশটিকে ইরান ও তুরস্ক খাবার সরবরাহের দায়িত্ব নেয়ার পর খাদ্য সংকটের ভয় কেটে গেছে।
এদিকে সৌদি আরবের খাবারের মানের তুলনায় ইরান ও তুরস্ক প্রেরিত খাবারের মান ভালো বলে জানিয়েছেন কাতারের দোহার একটি হোটেলে কর্মরত বাংলাদেশি আতিকুর রহমান। খবর বিবিসি বাংলার।
আতিকুর রহমান জানান, 'প্রথম দুইদিন তো কেউ সাপ্লাই দিতে পারে নাই। ইরানও দিতে পারে নাই তুরস্কও দিতে পারে নাই। তবে ওদের খাবারের গুণগত মান সৌদি আরবের থেকে ভালো। সবাই এখন এটাকে লাইক (পছন্দ) করছে।'
তবে সৌদি আরবসহ আরো তিনটি উপসাগরীয় দেশ কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করায় ফল এবং সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তুরস্ক থেকে দুগ্ধজাত পণ্য আসছে কাতারে।
এ অবরোধের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী খাদ্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কাতার সরকার হুশিয়ারি দিয়ে বলে খাদ্য মজুত করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আতিকুর রহমান বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘমেয়াদী হলে কম রোজগারের মানুষ সমস্যায় পড়তে পারে। এক্ষেত্রে যাদের বেতন এক হাজার রিয়ালের কম তাদের জন্য পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বরে তিনি আশংকা করছেন।
কাতারের নাগরিকরা আশা করছেন দ্রুত এ সংকটের সমাধান হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত সে ধরণের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে অবরোধের কারণে ওমান হয়ে পণ্য আমদানি শুরু করেছে কাতার।