ইয়েমেনের দক্ষিনাঞ্চলীয় তায়েজ প্রদেশের একটি বাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন বেসামরিক লোক শহীদ হয়েছেন। তারা সকলে একই পরিবারের।
Seek% buffered00:00Current time03:42Volume
আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইয়েমেনের তায়েজ প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে একটি বসতবাড়িকে লক্ষ্য করে পরিচালিত সৌদি বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন বেসামরিক ইয়েমেনি শহীদ হয়েছেন।
ইয়েমেনের মাসিরাহ চ্যানেল জানিয়েছে, তায়েজ প্রদেশের ‘ইয়াখতাল’ এলাকায় অবস্থিত একটি বাড়িকে লক্ষ্য করে ঐ হামলা চালানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ঐ বাড়িতে অবস্থানরত সকলেই শহীদ হয়েছেন। উদ্ধার কর্মীরা বস্তায় ভরে ৭টি শিশু এবং ৮ জন নারীর লাশ ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে বের করে আনে।
সাম্প্রতিককালে ইয়েমেনের তায়েজ ও সায়াদাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের উপর সৌদি বিমান হামলা লক্ষ্যণীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইয়েমেনের উপর ৮২০ দিনের সৌদি আগ্রাসনে এ নাগাদ ১৫০০০ বেসামরিক ইয়েমেনি শহীদ হলেও চরম নির্লজ্জভাবে জঘন্য এ অপরাধকর্মে লিপ্ত আলে সৌদকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছে সৌদি কর্মকর্তারা।
সৌদি আরবের বাদশা’র মানবিক ত্রাণ সরবরাহ বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান ‘আব্দুল্লাহ আর-রাবিয়াহ’ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন: ইয়েমেনে সৌদি আরব কোন বেসামরিক মানুষ মারছে না। বরং আমরা ইয়েমের জনগণের জন্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করছি। তার দাবী, সৌদি আরব এ নাগাদ ইয়েমেনে সবচেয়ে বেশী ত্রাণ পাঠিয়েছে! অথচ ইতিপূর্বে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এ বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে যে, ইয়েমেনে নিহত বেসামরিক জনগণের অধিকাংশই সৌদি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে সৌদি আরব, কয়েকটি আরব দেশের সহযোগিতা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করে। এ আগ্রাসনের মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে ইয়েমেনের পদত্যাগকৃত পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দু রাব্বি মানসুর হাদীকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা।
সামরিক এ আগ্রাসনে এ নাগাদ ১৫ হাজার ইয়েমেনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া হাজার হাজার ব্যক্তি আহত এবং কয়েক লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। বর্তমানে দেশটির অবকাঠামো প্রায় ধ্বংসের মুখে।#