আবনা ডেস্কঃ একটি গরু হত্যা করলে ওই হত্যাকারীকে ৫ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত সাজা দেন ভারতের আদালত। কিন্তু বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যার সাজা মাত্র দুই বছর।
দেশটির হাইকোর্টে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যার বিচারের রায় দেওয়ার সময় গতকাল শনিবার এভাবেই আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অতিরিক্ত সেশন জজ সঞ্জীব কুমার।
আজ রোববার হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালে হরিয়ানার এক শিল্পপতির ছেলে বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। এ মামলায় ওই শিল্পপতির ছেলেকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালে উস্তাভ ভাসিন নামের ৩০ বছর বয়সী ওই তরুণ বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেন। ওই মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন অনুজ চৌহান ও মৃগাঙ্ক শ্রীবাস্তব নামের দুই বন্ধু। এরপর তাঁদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি উস্তাভ। এতে অনুজের মৃত্যু হয় এবং মৃগাঙ্ক গুরুতর আহত হন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি উস্তাভের ১২ লাখ রুপি জরিমানা করেন। এর মধ্যে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও আহত মৃগাঙ্ককে দুই লাখ রুপি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে উচ্চ আদালতে এই আপিল করতে উস্তাভকে ৫০ হাজার রুপি মুচলেকায় জামিন দেওয়া হয়েছে।
এই রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অতিরিক্ত সেশন জজ সঞ্জীব কুমার। তিনি বলেন, ‘দেশের রাজ্যগুলোতে গো হত্যার জন্য ৫ থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়ে থাকে। কিন্তু বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যার সাজা মাত্র দুই বছর।’