আবনা ডেস্কঃ ইরানের মাশহাদ শহরে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)’র পবিত্র আহলে বাইতের সদস্য হযরত ইমাম রেজা (আ)’র মাজারে এসে পৃথকভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বেলারুশ এক নারী ও বেলজিয়ামের এক নারী চিকিৎসক।
তারা সম্প্রতি পৃথকভাবে ইরানের পবিত্র এই শহরে আসেন। সাম্প্রতিক সময়ে পবিত্র এই মাজারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের এ ধরনের আরো অনেক ঘটনা ঘটেছে।
বেলারুশের ২৬ বছর বয়সের নারী ওলকা আভেনস্তোভিচ দ্বিতীয় বারের মত এই পবিত্র মাজারে আসার পর শাহাদাতাইন বা দুই কালিমা ( লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ, অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ বা উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) তাঁর রাসুল) পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
তিনি এ নিয়ে তিন বার ইরানে এসেছেন এবং প্রথম দু’বার এসেছিলেন পর্যটক হিসেবে। ইরানের জনগণের ধর্মীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করায় তিনি এর প্রতি আকৃষ্ট হন বলে জানিয়েছেন।
ওলকা আভেনস্তোভিচ বিদেশী ভাষা বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন এবং আরবি ভাষা শেখার পর তিনি পবিত্র কুরআনও অধ্যয়ন করেছেন।
কুরআন অধ্যয়ন ও মুসলমানদের সঙ্গে চলাফেরার সুবাদে তিনি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। আর এ অবস্থায় বেলারুশ এই নারী ইমাম রেজা (আ)’র পবিত্র মাজারে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
গত ফার্সি বছরে (যা শেষ হয়েছে গত মার্চ মাসে) ইমাম রেজার মাজার জিয়ারত করতে এসেছেন ২৫ লাখ বিদেশী এবং তাদের মধ্যে ছিলেন নানা মহাদেশ থেকে আগত ১১ হাজার অমুসলিম পর্যটক। গত ফার্সি বছরে ত্রিশ জন অমুসলিম এই পবিত্র মাজারে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)’র পবিত্র আহলে বাইতের সদস্য হযরত ইমাম রেজা (আ)’র মাজারে এসে সম্প্রতি যে বেলজিয় নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তার নাম হল মিরি ফাইবুল লামুরিত।
পেশায় ডাক্তার সাবেক এই ক্যাথলিক খ্রিস্টান নারী এর আগে দুইবার এই পবিত্র মাজারে এসেছেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য তিনি সাত বছর আগে এ ধর্ম সম্পর্কে গবেষণা শুরু করেন। আর এর সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন তারই এক মুসলমান রোগী। ওই রোগীর
কাছ থেকে পাওয়া পবিত্র কুরআন ও হযরত আলী (আ)’র বাণীর সংকলন নাহজুল বালাগ্বা অধ্যয়ন করেন মিসেস মিরি ফাইবুল লামুরিত।
বেলজিয় নারী ডাক্তার সাবেক মিসেস মিরি ফাইবুল লামুরিত তথা নওমুসলিম মারিয়ামকে উপহার সামগ্রী দিচ্ছেন ইমাম রেজার -আ. মাজারের ইরানি কর্মকর্তা
ইমাম হুসাইন (আ) ও ইমাম রেজা (আ)’র জীবনাদর্শ ও ব্যক্তিত্ব ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ক্ষেত্রে তার জন্য বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে বলে বেলজিয় এই নারী জানান।
পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত হযরত ইসা (আ)’র ঘটনা এবং এ মহাগ্রন্থের সুরা আলাকও ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে বলে মিরি ফাইবুল লামুরিত জানান। মুসলমান হওয়ার পর সাবেক এই খ্রিস্টান নারী নিজের জন্য মারিয়াম নামটি বেছে নেন। #