বাঙ্গালী
Friday 22nd of November 2024
0
نفر 0

কেমন ছিলেন সর্বকালের সেরা মহামানবী?

কেমন ছিলেন সর্বকালের সেরা মহামানবী?

আবনা ডেস্ক: হিজরি-পূর্ব আট সনের বিশে জমাদিউসসানি মানবজাতির জন্য এক অশেষ খুশির দিন। এ দিনে জন্ম নিয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবী এবং মহান আল্লাহর অতি-ঘনিষ্ঠ শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব নবী-নন্দিনী হযরত ফাতিমা জাহরা (সালামুল্লাহি আলাইহা)।
নারী ও মা দিবস হিসেবে আজ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে এই পবিত্র দিবস। (এই একই দিন ইরানের ইসলামী বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেনী (রহ)-এরও জন্মদিন) মিশরের ঐতিহাসিক আলআজহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তাঁর পবিত্র নাম অনুসারেই।
বিশ্ব-ইতিহাসের সবচেয় বিপ্লবী নারী ও বেহেশতি নারীকুলের সম্রাজ্ঞী ফাতিমা (সা.আ.)'র পবিত্র জন্মদিন উপলক্ষে সবাইকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা মুবারক-বাদ। তাঁর ওপর, তাঁর পিতা এবং তাঁর পবিত্র বংশধরদের ওপর বর্ষিত হোক অনন্তকাল ধরে অসংখ্য সালাম আর দরুদ।
বিশ্বনবী (সা.) ও উম্মুল মু’মিনিন হযরত খাদিজা (সালামুল্লাহি আলাইহা)'র মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হয়ে জ্ঞান আর মহত্ত্বের শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে উন্নীত হন এই মহীয়সী নারী। মানব জাতির সর্বকালের সেরা মহামানব তথা বিশ্বনবী (সা.)'র ওপর মুশরিকদের চাপিয়ে দেয়া নানা কষ্ট আর যন্ত্রণা লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন হযরত ফাতিমা (সা.আ.)। বাবার সেবায় জননী-সুলভ অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য তাকে বলা হত উম্মে আবিহা বা পিতার মা। বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইত ও বংশধারাও রক্ষিত হয়েছে এই মহামানবীর মাধ্যমে।
মহান আল্লাহর ইচ্ছায় হিজরতের দ্বিতীয় বর্ষে বা দ্বিতীয় হিজরিতে হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আ.)'র সঙ্গে। আদর্শ কন্যা হিসেবে আলী (আ.)'র ঘরে এসে তিনি হন আদর্শ স্ত্রী ও মাতা। গড়ে তোলেন বেহেশতি যুবকদের সর্দার হযরত ইমাম হাসান, ইমাম হুসাইন (আ.) এবং জাইনাব (সা.আ.)'র মত মানব ইতিহাসের গৌরবময় অনন্য সম্পদ। স্বামী চিন্তিত হবেন বা তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাধাগ্রস্ত হবে-এই ভেবে তিনি সংসারের অভাব ও এমনকি দিনের পর দিন ঘরে খাদ্য না থাকা এবং শিশু হাসান ও হুসাইনের ক্ষুধার বিষয়ে স্বামীকে কিছু জানাতেন না।
বিয়ের দিন এক দরিদ্র নারী নবী-নন্দিনীর কাছে পোশাক সাহায্য হিসেবে চাইলে তিনি নিজের বিয়ের জন্য তৈরি নতুন পোশাকটি তাকে দান করে দেন। এর মাধ্যমে তিনি সর্বোত্তম ও প্রিয় বস্তু থেকে দান করার ইসলামী শিক্ষাটি তুলে ধরেন ।
ফাতিমা (সা আ)র বিয়ের জন্য আলীর ঢালকে মোহরানা ধার্য করা হয়। এর মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ৫০০ দিরহাম। অবশ্য ফাতিমা জাহরা বাবাকে অনুরোধ করেন যে, তার দেন-মোহরকে কিয়ামতের দিন রাসূলের (সা) উম্মতের পাপী বান্দাহদের মুক্তির জন্য নির্ধারণ করা হোক। তাঁর এ আবেদন আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে বলে ওহির ফেরেশতা জিবরাইল সুসংবাদ নিয়ে আসেন।
ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) মুসলিম সমাজের বিচ্যুতি ঠেকানোর জন্য ও সত্যের জন্য সংগ্রামের সামাজিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও আদর্শ দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন। কোনো কোনো ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী এ কারণেই তাঁকে শাহাদত বরণ করতে হয়েছে।
আসলে নবী-নন্দিনী পিতার বিয়োগ-ব্যথায় যতটা কাতর ছিলেন তার চেয়েও বেশি অসন্তুষ্ট ও দুঃখিত ছিলেন বাবার উম্মতের বিচ্যুতির নানা ঘটনা দেখে।
প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থ বুখারীতে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ফাতিমা আমার অংশ। যে কেউ তাকে অসন্তুষ্ট ও ক্রোধান্বিত করলো সে আমাকেই অসন্তুষ্ট ও ক্রোধান্বিত করল।
হাদিসে এটাও এসেছে যে যা আল্লাহর রাসূল (সা.)কে অসন্তুষ্ট করে তা আল্লাহকেও অসন্তুষ্ট বা ক্রুদ্ধ করে। বিশ্বনবী (সা.)'র আহলে বাইত (আ.)'র সদস্য হযরত ফাতিমা যে নিষ্পাপ ছিলেন তাও এসব বর্ণনা থেকে স্পষ্ট।
হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.) ছিলেন নারী ও পুরুষ তথা গোটা মানব জাতির জন্য অসাধারণ ত্যাগ, বিশ্বস্ততা, অন্যায়ের ব্যাপারে আপোষহীনতা, সততা, দানশীলতা, ধৈর্য, চারিত্রিক পবিত্রতা, লজ্জাশীলতা ও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টিসহ অনেক মহৎ গুণের আদর্শ। আর এ জন্যেই তাঁর উপাধি ছিল আস-সিদ্দিক্বা বা সত্য-নিষ্ঠ, আল-মুবারাকাহ বা বরকত-প্রাপ্ত, আত-ত্বাহিরা বা পবিত্র, আল-মারজিয়া বা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট, বাতুল বা শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে অতুলনীয় আদর্শ, আয যাকিয়া বা সতী, মুহাদ্দিসাহ বা হাদিসের বর্ণনাকারী, সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামিন বা নারীকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, খাতুনে জান্নাত বা বেহেশতি নারীদের নেত্রী, আয জাহরা বা দ্যুতিময় ইত্যাদি।
মদিনার ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান তথা বিশ্বনবী (সা)’র কন্যা হয়েও হযরত ফাতিমা খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন। সংসারের যাবতীয় কাজ তিনি নিজের হাতে করতেন। মশক দিয়ে পানি উত্তোলনের ফলে তাঁর শরীরে দাগ পড়ে গিয়েছিল। তিনি যাঁতার মাধ্যমে এত পরিমাণ আটা তৈরি করতেন যে, তাঁর হাতে ফোস্কা পড়ে যেত। আর তিনি সেই আটা দিয়ে রুটি তৈরি করে মদীনার দরিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করতেন। পার্থিব কোন বস্তুই তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারত না। আর এজন্যই রাসূল (সা.) তাঁকে ‘বাতুল’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।
বিশ্বনবী (সা) খাইবার যুদ্ধে পাওয়া নিজের প্রাপ্য সম্পদ থেকে ‘ফাদাক’ নামের একটি বাগান উপহার দিয়েছিলেন কন্যা ফাতিমাকে। এই বাগানের আয় ছিল বার্ষিক প্রায় ৭০ হাজার দিনার বা ৮ থেকে দশ মন স্বর্ণ। অথচ দানশীল ফাতিমার পোশাকে থাকত অন্তত এক ডজন তালি। যেদিন ফাদাকের আয় পাঠানো হত নবী নন্দিনীর ঘরে সেদিনটি মদীনার দরিদ্র, ইয়াতিম ও অভাবীদের জন্য ঈদের দিন হয়ে দেখা দিত। কারণ তারা সবাই সে সময় বিপুল পরিমাণ দান-খয়রাত পেতেন হযরত ফাতিমার কাছ থেকে।
রাসূল (সা) আলী (আ)-কে বলেন, ‘জান, কেন আমার কন্যার নাম ফাতিমা রাখা হয়েছে? আলী (আ) আরজ করেন, বলুন, হে রাসূল (সা)! তিনি বলেন, এ জন্য যে সে এবং তাঁর অনুসারীদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে পরিত্রাণ দেয়া হয়েছে।’
হযরত ফাতিমা যখন নামাজের জন্য দাঁড়াতেন তখন তাঁর জ্যোতি আকাশের ফেরেশতা ও অন্যান্যদের দিকে ছড়িয়ে পড়ত। আর এ কারণে তাঁকে জাহরা উপাধি দেয়া হয়। কম বয়স্ক যুবতী হওয়া সত্ত্বেও রাতভর নামাজ আদায় করার কারণে তাঁর পা ফুলে যেত। তিনি যখন সংসারের জন্য কাজ করতেন তখনও তিলাওয়াত করতেন পবিত্র কুরআনের আয়াত। নিজের জন্য ও নিজ পরিবারের জন্য দোয়া না করে তিনি কেবলই অন্যদের জন্য দোয়া করতেন।
হযরত ফাতিমা সিদ্দিক্বা (সা. আ.) জন্ম নিয়েছিলেন এমন এক যুগে যখন নারীর জন্মকে আরবরা কলঙ্ক বলে মনে করতো। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও নারীরা ছিল অবহেলিত ও উপেক্ষিত এবং এমনকি মানবিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। আরবরা কেবল পুত্র সন্তানকেই নিজের বংশধর বলে বিবেচনা করত। বিশ্বনবী (সা.)'র কোনো পুত্র সন্তান না থাকায় মক্কার মুশরিক আরবরা তাঁকে নির্বংশ বা আবতার বলে উপহাস করত। কিন্তু মহান আল্লাহ এসব উপহাসের জবাব দিয়েছেন সূরা কাওসারে। এ সূরায় হযরত ফাতিমা (সা. আ.)-কে কাওসার বা প্রাচুর্য বলে উল্লেখ করেছেন মহান আল্লাহ এবং কাফেররাই নির্বংশ হবে বলে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বাস্তবেও হয়েছে তাই। অনেক অত্যাচার সত্ত্বেও হযরত ফাতিমার বংশধারা পৃথিবীতে টিকে আছে, অন্যদিকে জালিম বনু উমাইয়্যা ও বনু আব্বাস ধ্বংস হয়ে গেছে।
রাসূল (সা.)'র মৃত্যুর পর পিতার বিয়োগ-ব্যথায় কাতর ফাতিমাকে (সা. আ.) সান্ত্বনা দিতে আসতেন স্বয়ং জিবরাইল (আ.)। 'মাসহাফই ফাতিমা' নামে খ্যাত গ্রন্থটির সমস্ত তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে জিবরাইল ফেরেশতার সঙ্গে ফাতিমা (সা. আ.)'র কথোপকথনের মাধ্যমে যা লিখে গেছেন হযরত আলী (আ.)। এভাবে ঐশী পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন বলেই নবী-নন্দিনীকে বলা হত 'মুহাদ্দিসা'।
হযরত ফাতিমা এবং তাঁর সন্তানরা ক্ষুধার্ত থাকা অবস্থায় ক্ষুধার্ত আল্লাহর রাসূলকে অগ্রাধিকার দিতেন। অর্থাৎ নিজেদের খাবার তাঁরা রাসূলের জন্য উৎসর্গ করতেন। নিজেরা তিন দিন অভুক্ত থেকে দরিদ্রদের জন্য ইফতারির খাবার দান করায় হযরত ফাতিমা, হাসান, হুসাইন এবং আলী (আ)’র আত্মত্যাগের প্রশংসায় পবিত্র কুরআনের সুরা ইনসান বা দাহিরের ১৭ টি আয়াত নাজিল হয়েছে।
ফাতিমা জাহরা (সা. আ.) রাসূল (সা.)'র উম্মতের উদ্দেশে বলেছেন: আল্লাহ ঈমানকে তোমাদের জন্য শির্ক হতে পবিত্র হওয়ার ও নামাজকে অহংকার থেকে পবিত্র হওয়ার এবং আমাদের প্রতি আনুগত্যকে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠার মাধ্যম করেছেন, আমাদের নেতৃত্বকে অনৈক্যের পথে বাধা ও আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বকে ইসলামের জন্য সম্মানের মাধ্যম করেছেন।
ফাতিমা জাহরা (সা. আ.) আরও বলেছেন, নারীদের জন্য সর্বোত্তম বিষয় হচ্ছে, তারা যেন কোনো অচেনা পুরুষকে না দেখে এবং কোনো অচেনা পুরুষও তাদের না দেখে।


ফাতিমা জাহরা (সা.আ.)'র কয়েকটি অলৌকিক ঘটনা
ফাতিমা (সা. আ.) যখন হযরত খাদিজা (সা. আ)’র গর্ভে ছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে মা খাদিজা কথা বলেছেন বলে বর্ণনা রয়েছে।
হযরত ফাতিমা সিদ্দিক্বা’র জন্মের সময় হযরত খাদিজা দেখতে পান যে তাঁর সেবা করার জন্য বেহেশত থেকে এসেছেন ইসহাকের (আ) মা বিবি সারা, ঈসার (আ) মা বিবি মারইয়াম, ফিরআউনের স্ত্রী আছিয়া এবং হযরত মূসার বোন উম্মে কুলসুম। এ প্রসঙ্গে উম্মুল মু’মিনিন হযরত খাদিজা (সা. আ) বলেছেন, ‘ফাতিমার জন্মগ্রহণের সময় সাহায্য করার জন্য আমি কুরাইশ নারীদের ডেকে পাঠিয়েছিলাম। তারা এ বলে প্রত্যাখ্যান করল যে, আমি মুহাম্মাদকে বিয়ে করেছি। আমি কিছুক্ষণের জন্য দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ দেখলাম চারজন উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় দীর্ঘকায়া বিশিষ্ট নারী আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। আমাকে আতংকিত দেখে তাঁরা বললেন : হে খাদীজা! ভয় পাবেন না। আমি হলাম ইসহাকের মা সারা, আর অপর তিনজন হলেন ঈসার মা মারইয়াম, ফিরআউনের স্ত্রী আছিয়া এবং মূসার বোন উম্মে কুলসুম। আল্লাহ আমাদের পাঠিয়েছেন আপনাকে সাহায্য করতে। এ বলে সেই জ্যোতির্ময় নারীরা আমার চারপাশ ঘিরে বসলেন। আমার মেয়ে ফাতিমা জন্মগ্রহণ করা পর্যন্ত তাঁরা আমার সেবা করলেন।’
হযরত ফাতিমা (সা. আ.) নিজের মৃত্যু কবে হবে এবং তাঁর দুই প্রিয় সন্তান হাসান ও হুসাইন (আ.) কিভাবে মারা যাবেন সেই তথ্যসহ ভবিষ্যৎ ইতিহাসের অনেক খবর রাখতেন। হুসাইন (আ.)'র হত্যাকারীদের অভিশাপ দিয়ে গেছেন তিনি।
একজন সাহাবি থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি দেখেছেন হযরত ফাতিমা (সা) আটার যাঁতা ঘুরাতে ঘুরাতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আর এ অবস্থায় যাঁতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘুরছিল বা ফেরেশতারা তা ঘুরাচ্ছিল।


0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

ফাদাক সম্পর্কে “প্রথম খলিফার ...
পবিত্র কুরআন ও সুন্নাতের আলোকে ...
কোমে হযরত ফাতেমা মাসুমার (আ.) জন্ম ...
শ্রেষ্ঠ নারী হযরত ফাতিমাতুয ...
ইমাম হাসান (আ.) এর শাহাদাত
নবী রাসূল প্রেরণের প্রয়োজনীয়তা
Apabila ada sebagian hukum Islam yang nampaknya bertentangan serta kontradiktif dengan ...
আবতার কে বা কা’রা?
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর কতিপয় খুতবা ও ...
ইমাম হোসাইন (আ.)-এর মহান শাহাদাতের ...

 
user comment