আবনা ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের বিমান হামলায় দুই কমান্ডারসহ অন্তত আটজন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
সোমবার ইসরাইল গাজার দক্ষিণাঞ্চলে একটি সুড়ঙ্গপথ হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা বলেন, খান ইউনিস এলাকায় আরেক হামলায় আরও নয়জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আল-আকসা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল কুদস ব্রিগেডের সদস্য বলে আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তারা হলেন- ব্রিগেড কমান্ডার আরাফাত আবু মোর্শেদ, উপ-ব্রিগেড কমান্ডার আবু হাসনাইন, আহমাদ খলিল আবু আরমানেহ, ওমর নসর আল ফালিত ও জিহাদ আল সামিরি।
নিহতদের মধ্যে দুজন হামাসের ইজ্জেদিন আল কাসসাম ব্রিগেডের সদস্য। তারা হলেন- মেসবাহ ফায়িক শুবাইর (৩০) ও মোহাম্মদ আল আগা (২২)।
এ ছাড়া আরও একজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইসরাইলি হামলার ঘটনায় এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে সোমবার রাতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন অপর এক মুভমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, নিশ্চিতভাবেই আমরা দখলদার ইসরাইলের আজকের হামলার দাঁতভাঙা জবাব দেব।
এতে আরও বলা হয়েছে, দখলদার সরকারকে অবশ্যই হুঁশিয়ার থাকতে হবে যে ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষায় আমরা নিজেদের সামর্থ বাড়ানোর কাজ অব্যাহত রাখব।
এদিকে গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে হামাস দাবি করে, এ হামলার মাধ্যমে ইসরাইল গাজার জনগণের বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করেছে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া খান ইউনিসের পূর্ব দিকের সুড়ঙ্গপথটি নির্মাণ করছিল হামাস।
সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির ওপর পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরাইলি বিমান বাহিনী।
উপত্যকায় বিমান হামলা চালানোর পর ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক কর্মকর্তারা সীমান্তে নিজেদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সাল থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইল। ফলে খাদ্য-ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে ব্যাপক দুর্দশার শিকার হচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণ।
এ অবস্থায় গাজার মানুষদের ন্যূনতম জীবন ধারনের জন্য চোরাই পথে পণ্য সরবরাহ করতে মাটি খুঁড়ে বিভিন্ন সুড়ঙ্গপথ তৈরি করে নিয়েছে হামাস ও অন্যান্য ইসলামি সংগঠন।