ইসলামে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে স্বতন্ত্র সংক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্ববহ নিবন্ধ প্রকাশ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। প্রকৃতপক্ষে সমসাময়িক বিশ্বে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গবেষকদের কাছে অপরিচিত। এমনকি শিক্ষিত মুসলমান, যারা আদর্শগতভাবে ইসলামে বিশ্বাস করে, তারা ইসলামী ব্যবস্থাপনা সম্বন্ধে সাধারণ ধারণা থাকা সত্ত্বেও বিস্তারিতভাবে এর ব্যাখ্যা কামনা করে।
যথার্থ ইসলামী ব্যবস্থাপনা কোনটি? অনৈসলামী ব্যবস্থাপনা থেকে কিভাবে এটা পৃথক? এই পার্থক্যের প্রকৃতি কি ধরনের? ইসলামী ও অনৈসলামী ব্যবস্থাপনা কি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের বিষয়? যদি তাই হয় তাহলে এ পার্থক্যের লক্ষণ কী?
এভাবে ইসলামী ব্যবস্থাপনার ব্যাখ্যা করা সবার জন্যই প্রয়োজন। ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা জড়িত বাস্তবক্ষেত্রে সেটা প্রয়োগ করার জন্য তাদের এ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করা দরকার। আর যারা পণ্ডিত ব্যক্তি তাদের তুলনামূলক আলোচনা ও গবেষণার জন্য এটা প্রয়োজন।
যেহেতু প্রতিটি পৃথক মতাদর্শেরই নিজস্ব বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আদর্শ, মূল্যবোধ ও পদ্ধতি আছে এবং সবকিছুই ঐ কাঠামোর মধ্য থেকেই বিচার বিবেচনা করা হয় সেহেতু প্রতিটি মতাদর্শেরই নিজস্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি রয়েছে ও একটা থেকে আরেকটার ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পূর্ণ পৃথক এবং মৌলিক ও ব্যাপকভিত্তিক পার্থক্য বিদ্যমান।
এভাবে প্রতিটি মতাদর্শেরই নিজস্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি রয়েছে যা অন্যান্য মতাদর্শের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি থেকে অর্থগত, গুণ ও মানগত দিক, পরিধি, আন্তঃসংযোগ, বিভাগ- সংক্ষেপে বলতে গেলে সবদিক দিয়েই পৃথক। এভাবে শুধু ইসলামী এবং অনৈসলামী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিই নয়, প্রকৃতপক্ষে বলতে গেলে প্রতিটি মতাদর্শেরই নিজস্ব বৈশিষ্ট্যপূর্ণ প্রশাসনিক পদ্ধতি রয়েছে, যাতে একটা থেকে আরেকটার অবশ্যই পার্থক্য বিদ্যমান।
সকল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিরই বাহ্য কাঠামো ও বহিরঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্য বিদ্যমান। এর মধ্যে আছে সমন্বয়, যোগাযোগ, পরিচালনা, নির্দেশনা, তত্ত্বাবধান ইত্যাদি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে যদি আমরা এর প্রতিটির গভীরে যাই তাহলে দেখা যাবে একটি মতবাদ বা পদ্ধতির ধারণা কোন কোন সময় আরেকটি মতবাদ বা পদ্ধতির ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে পুরোপুরি মতৈক্য বিদ্যমান থাকতে পারে, যেমন বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি ক্ষেত্রে (উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, দুটি পৃথক প্রশাসনিক পদ্ধতিতে একই ধরনের কম্পিউটার ইউনিট ব্যবহৃত হয়), তবে পদ্ধতিসমূহের কাঠামোর বিষয়বস্তুর আওতার মধ্য থেকে বিবেচনা করলে দেখা যাবে তাদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে এবং বিভিন্নমুখী গতি তারা অর্জন করেছে।
সুতরাং দুটি পদ্ধতির কর্মচারী এবং বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি বিষয়ে সাদৃশ্য রয়েছে বলে মনে হলেও সার্বিকভাবে দেখতে গেলে তাদের মধ্যে পার্থক্যই পরিলক্ষিত হবে। আমাদের দৃষ্টিতে প্রকৃত ইসলামী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পবিত্র কুরআন এবং ইসলামের মহান নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতি থেকে উৎসারিত। এ ব্যাপারে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য খুবই সমৃদ্ধ। এখানে আমরা মিসরে নিযুক্ত গভর্নর মালিক আশতারের প্রতি হযরত আলী (আ.)-এর নির্দেশাবলি বেছে নিলাম এবং এগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য আলোচনার ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করলাম।
মালিক আশতারের প্রতি প্রথম ইমামের নির্দেশনামা যেহেতু ইসলামী সরকারের প্রধানের পক্ষ থেকে সরকারী ফরমান হিসাবে জারি হয়েছিল সেহেতু এটা একটা প্রত্যক্ষ প্রশাসনিক বিষয় ও আবেদন। এতে ইসলামী ব্যবস্থাপনার আদর্শ ও নীতি সরকারীভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। হযরত আলী (আ.)-এর নির্দেশনামার শুরুতে তিনি বলেন, ‘মালিক ইবনে হারিস আশতারের প্রতি আমাদের এই নির্দেশ : মিশরে খাজনা আদায়, সেখানে শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং শহর ও নগরের উন্নয়ন ও নির্মাণের জন্য তাঁকে সেখানকার গভর্নর নিয়োগ করা হলো।’ ঐ ফরমান থেকে উৎসারিত ইসলামী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির কিছু মৌলিক নীতিমালা নিম্নে প্রদত্ত হলো :
১. এটা ইসলামী আদর্শভিত্তিক নৈতিকতার একটা দৃশ্যমান বিষয়। যেহেতু হযরত আলী (আ.)-এর নির্দেশনামা শুরু হয়েছে আল্লাহর নামে সেহেতু এতে প্রমাণিত হয় যে, ইসলামী ব্যবস্থাপক ও প্রশাসকদের আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে, যিনি হচ্ছেন সকল আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনা, কথা ও কাজের কেন্দ্রবিন্দু। এভাবে তাদের দৃষ্টিতে দৈহিক ও বৈষয়িক দৃশ্যমান বিশ্বে তাদের অস্তিত্ব সীমাবদ্ধ নয়, কিংবা পৃথিবীর কয়েক বছরের জীবনের মধ্যেই তাদের জীবন সীমাবদ্ধ নয়। বরং মৃত্যুর পর এবং তারও পরে মানুষের জীবন রয়েছে। এর সঙ্গে বাইরের দৃশ্যমান বিষয় ছাড়াও অভ্যন্তরীণ বিষয় বা প্রকৃতি রয়েছে যাকে ইসলাম গুণগত মান দিয়ে ব্যাখ্যা করে থাকে।
এভাবে একজন মুসলমান প্রশাসক আল্লাহ ও পরকাল, পবিত্র কুরআন ও নামাজে বিশ্বাস করেন এবং ইসলামী নৈতিকতা দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করেন।
২. প্রত্যেক খাঁটি মুসলমান এবং বিশেষ করে মুসলমান প্রশাসকরা এক আল্লাহতে বিশ্বাস করেন এবং তাঁরই ইবাদাত করেন। একজন ব্যক্তি কিভাবে নিজেকে ও সৃষ্টজগৎকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই তার উপর নির্ভর করে তার কর্ম সম্পাদন। যে ব্যক্তি বস্তুবাদ ও প্রকৃতিবাদের উপর বিশ্বাস করে এবং নিজেকে বস্তু থেকে সৃষ্ট বলে বিবেচনা করে ও পুরোপুরি পশুর বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে বিদ্যমান বলে মনে করে তা হলে স্বাভাবিকভাবেই ঐ ব্যক্তির নৈতিকতা ও আচরণ প্রাকৃতিক শক্তির কর্মকাণ্ডভিত্তিক। একজন তাওহীদবাদী ইবাদতকারী থেকে মৌলিকভাবেই সে হবে ভিন্নতর।
একথা বলা ভুল হবে না যে, কোন ব্যক্তির ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত দর্শন নির্ভর করে সে ব্যক্তি নিজেকে বস্তুবাদী, নৈরাজ্যবাদী কিংবা বিশ্ব চরাচরের সবকিছু সৃষ্টিকারী এক আল্লাহর সৃষ্ট জীব হিসাবে ভাবে তার উপর।
হযরত আলী (আ.) মিসরে নিযুক্ত গভর্নরের প্রতি প্রদত্ত নির্দেশনামার শুরুতেই নিজেকে আল্লাহর গোলাম হিসাবে উল্লেখ করেছেন এবং এতে একজন মানুষ হিসাবে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে ওঠে। এতে আরো যে বিষয়টি ফুটে ওঠে তা হলো, তাঁর নিয়োগকৃত এবং অন্যান্য ইসলামী প্রশাসক কী বিশ্বাস করবে ও কিভাবে কাজকর্ম পরিচালনা করবে তা প্রত্যাশা করেছেন। আমরা জানি, হযরত আলী (আ.) সকল সৎ গুণাবলির অধিকারী ছিলেন এবং তিনি ছিলেন ব্যতিক্রমধর্মী দয়ালু, যা একমাত্র মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ছাড়া অন্য কারো মধ্যে দেখা যায়নি। তিনি ইসলামী সরকারের ক্ষমতার শীর্ষবিন্দুতে বসেছিলেন এবং তিনি ছিলেন এই সরকারের প্রাথমিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর নিজের বিবৃতি থেকে আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে, আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা হচ্ছে সর্বোচ্চ গুণ এবং এটা হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর বেলায়ও একই সত্য ধারণ করে।
এই ধারণা স্রষ্টার সামনে সকলকে একই পর্যায়ে বা সমানভাবে গণ্য করে থাকে। এটা হচ্ছে সকলের জন্য, বিশেষ করে ইসলামী শাসক ও ব্যবস্থাপকদের জন্য সতর্কতা সংকেত, যাতে বলা হয়েছে, গর্বিত, স্বার্থপর, উদ্ধত ও শোষক হওয়া যাবে না। যাদেরকে শাসন করা হচ্ছে তারা কোনভাবে নিকৃষ্ট বা নিম্ন পর্যায়ের- এটা কোন মতেই কখনো শাসক বা ব্যবস্থাপকরা মনে করতে পারবে না। কারণ, সকলকেই সমানভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।
এভাবে শাসকরা শাসিতদের সঙ্গে অন্যায়ভাবে কোন আচরণ করতে পারবে না। তাদের পদ ও মর্যাদা প্রদানের উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা নিষ্ঠুরতা, স্বার্থপরতা, গর্ব ও অন্যান্য খারাপ দিক পরিহার করতে পারে কিনা তা পরীক্ষা করা।
একজন ধর্মপ্রাণ মানুষের নিকট আকাঙ্ক্ষা, নাম ও যশ এবং পদমর্যাদার অভিলাষ হচ্ছে তুচ্ছ ব্যাপার। আমাদের আরো মনে রাখতে হবে যে, মানুষের জাগতিক চাহিদার শুরু হয় সবচেয়ে প্রাথমিক স্তরের পশুবৎ উদরসর্বস্বতা দিয়ে আর শেষ হয় নাম ও যশ লাভের আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে।
৩. ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ : একজন ইসলামী ব্যবস্থাপকের কর্তব্য হচ্ছে প্রতিষ্ঠান, নিয়ম-শৃঙ্খলা ও কাজের শ্রেণিবিভাগ এবং হিসাব ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করা। অসংগঠিত পন্থায় এবং খেয়াল খুশিমত কোন কিছু করা যাবে না। সংগঠিত পন্থায় কোন কাজকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।
মিসরের গভর্নরের প্রতি নির্দেশনামায় প্রথমেই যে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সেটি হলো আন্তরিকতা এবং গুরুত্ব সহকারে যে কোন বিষয়কে নেয়া। উপরস্থ কর্মকর্তাকে নিম্নপদস্থদের মান্য করার পদ্ধতিকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করতে হবে। মালিকের প্রতি হযরত আলী (আ.)-এর যে নির্দেশ তা আবার মালিকের নির্দেশ হয়ে তাঁর ঠিক পরের পদমর্যাদার কর্মকর্তার ওপর গিয়ে বর্তায় এবং তা ক্রমশ নিচের কর্মকর্তাদের উপর গিয়ে আরোপিত হয়। প্রত্যেকেই তার উপরস্থ কর্মকর্তার নির্দেশ মানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
৪. ইসলামী ব্যবস্থাপনা আল্লাহর ইবাদতরূপেও গণ্য। হযরত আলী (আ.)-যখন বলেন, তিনি আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করেছেন তখন তিনি উপলব্ধি করেন যে, ইসলামী ব্যবস্থাপনা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে এক ধরনের ইবাদত। সর্বোচ্চ নির্দেশদাতা হচ্ছেন আল্লাহ তাআলা স্বয়ং যিনি অন্যদের উপর ক্ষমতা অর্পণ করেন। এটা তাদেরকে একটা বিশেষ আইনগত বৈধতা প্রদান করে।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে উল্লেখ আছে, আল্লাহ তাআলা হযরত ইবরাহীম (আ.)-কে নবুওয়াত দান করার পূর্বে তাঁকে একজন ইবাদতকারী হিসাবে পছন্দ করেন এবং বিশেষ মিশনের জন্য তাঁকে একজন বন্ধু ও ইমাম হিসাবে বাছাই করেন।
৫. ইসলামী প্রশাসকের জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলি : একজন ব্যবস্থাপককে সর্বপ্রথম অবশ্যই আল্লাহর গোলাম হবে হবে, তাঁর পথে একাগ্রচিত্তে জীবন পরিচালনা করার অর্থেই তা হতে হবে। স্বার্থপরতা, কামপ্রবৃত্তির মোহ, অর্থলোভ ও লালসা পরিত্যাগ করে আল্লাহকে ভালোবাসতে হবে। উপরন্তু সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর উপর পূর্ণ বিশ্বাস থাকতে হবে এবং এই বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে ফুটে উঠতে হবে তাওহিদী প্রকৃতির ইবাদাতের মধ্য দিয়ে। তবে শুধু আল্লাহর গোলাম হওয়াই যথেষ্ট নয়। ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে হবে এবং ধারণাগত ও ব্যবহারিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, কলাকৌশল, নিরীক্ষাধর্মী বিজ্ঞান সম্বন্ধে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে। এ ছাড়া তাকে কয়েকটি সামাজিক গুণাবলিরও অধিকারী হতে হবে।
৬. ইসলামী ব্যবস্থাপনা হচ্ছে একটি অঙ্গীকার ও আল্লাহর উপর বিশ্বাস। আমরা হযরত আলী (আ.) থেকে বুঝতে পারি যে, ইসলামী তত্ত্বাবধান হচ্ছে একটি খোদায়ী নির্দেশ এবং একটি সুনির্দিষ্ট মতাদর্শ তথা ইসলামের সঙ্গে চুক্তি। এ থেকে আমরা এর গুরুত্ব ও মহান দায়িত্ব সম্বন্ধে উপলব্ধি করতে পারি।
একজন মুসলমান প্রশাসকের সকল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্টভাবে তার মনে অবশ্যই পরিষ্কারভাবে থাকতে হবে এবং সে অনুসারেই তাকে দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। একজন মুসলমান ব্যবস্থাপকের প্রকৃত কর্তব্য কী, এগুলো কিভাবে, কোন পর্যায়ে পালন করা যাবে এবং অন্যান বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে তার মনে ফটিকের মত স্বচ্ছ ও পরিষ্কার ধারণা অবশ্যই থাকতে হবে। হযরত আলী (আ.) মিসরে নিযুক্ত গভর্নর মালিকের প্রতি যে নির্দেশনামা প্রদান করেন তার শুরুতেই গভর্নরের দায়িত্ব পরিষ্কারভাবে তিনি উল্লেখ করেন। এগুলো নিচে প্রদান করা হলো -
ক. মিসরে খাজনা আদায়;
খ. শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ ও সংগ্রাম করা;
গ. মিসরের বিষয়সমূহ সম্পর্কে দৃষ্টি দেয়া ও সেগুলো সংগঠিত করা;
ঘ. মিসরীয় নগরসমূহের উন্নয়ন ও জনবসতি গড়ে তোলা।
এসব প্রতিটি বিষয়ের জন্য সংগঠিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া এর কোনটাই সম্পাদন করা সম্ভব নয় এবং হযরত আলী (আ.) সংক্ষিপ্ত আকারে সেগুলোরই সুপারিশ পেশ করে গেছেন।