কিছুদিন পূর্বে জান্নাতুল বাকিতে শায়িত ইমামগণ (আ.) এর কবরের প্রতি উগ্র ওয়াহাবী’রা অবমাননা করার পর নিরব ছিল সৌদি পত্রপত্রিকা। কিন্তু ইরাকের স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কবরে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরবের দৈনিকসমূহ।
আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনার রিপোর্ট : ইরাকের তাকরিতে অবস্থিত ইরাকের স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কবরে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি দৈনিক ‘সাহিফাতুল মাদিনা’ ও ‘আল রিয়াদ’।
ওয়াহাবীপন্থী এ দৈনিকগুলো, সাদ্দামপন্থীদের সাদ্দামের কবরে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ শীর্ষক ইরাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে ইরাক সরকারের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। যদিও উগ্র ওয়াহাবীরা পবিত্র মদিনা নগরীতে অবস্থিত জান্নাতুল বাকীতে অবস্থিত আহলে বাইত (আ.) এর সদস্যগণের কবরের উপর বারংবার অবমাননা করেছে ও সেগুলোকে বিনষ্ট করে মৃতদের কবরের উপর কোন চিহ্ন রাখার বিষয়ে সর্বদা বিরোধিতা করেছে এবং এটা শিরক বলে আখ্যায়িত করেছে।
গতকাল ইরাকের সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বাহিনী তাকরিত প্রদেশের ‘আল আওজাহ’ গ্রামে অবস্থিত সাদ্দামের কবর ঘেরাও করে ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসকের কবরে তার সমর্থকদেরকে প্রবেশে বাধা দেয়। বর্তমানে ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসকের কবর তার সমর্থকদের মিলনস্থানে পরিণত হয়েছে।
বলাবাহুল্য, কিছুদিন পূর্বে উগ্র ওয়াহাবীদের একটি দল অবমাননাকর এক পদক্ষেপে জান্নাতুল বাকীতে প্রবেশ করে, এর যায়ের (যেয়ারতকারী) দেরকে অকাট্ট ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং জান্নাতুল বাকীতে অবস্থিত পবিত্র ইমামগণ (আ.) এর কবরে লাথি মারে।
উগ্র ওয়াহাবীরা ১৯২৫ সালে জান্নাতুল বাকিতে অবস্থিত মসজিদ ও ঐতিহাসিক ইসলামি নিদর্শন ধ্বংস করে দেয়।
উল্লেখ্য, জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে যে সকল মহামানব শায়িত আছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন : মহানবী (স.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হাসান (আ.), ইমাম যায়নুল আবেদিন (আ.), ইমাম মুহাম্মাদ বাকের (আ.) এবং ইমাম জাফর সাদিক (আ.)।#