বাঙ্গালী
Wednesday 27th of November 2024
0
نفر 0

সানয়ায় বোমা বর্ষণ অব্যাহত থাকলে রিয়াদ ও আবুধাবি সুরক্ষিত থাকবে না

সানয়ায় বোমা বর্ষণ অব্যাহত থাকলে রিয়াদ ও আবুধাবি সুরক্ষিত থাকবে না

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ প্রধান সৈয়দ আব্দুল মালেক হুথি এক ভাষণে, ইয়েমেনের উপর সৌদি আরবের প্রকাশ্য আগ্রাসনের ১০০০ দিন অতিক্রমের পর ইয়েমেনের সর্বশেষ অবস্থার বিষয়ে বলেছেন: আগ্রাসী সৌদি জোট, সকল আইন ও চুক্তি ভঙ্গ করেছে। তারা কোন আইনের তোয়াক্কা করে না। আগ্রাসী জোটের মাথার উপর ছায়া হিসেবে রয়েছে আমেরিকা। তারা এ আগ্রাসনের পরিকল্পনাকারী এবং সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের হাতের উপকরণ মাত্র।

তিনি বলেন: স্বার্থে পৌঁছুতে নৃশংস অপরাধে লিপ্ত হয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী এ জোট। আগ্রাসীরা বাজার ও আবাসিক এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়ে অধিক সংখ্যক বেসামরিক লোক হত্যা করছে। এর মাধ্যমে তারা ইয়েমেনের জনগণের এরাদা ও তাদের জীবন-যাপনের সকল সম্বল ধ্বংস করে দিতে চায়।

তার সংযোজন, গত ১০০০ দিনে আগ্রাসীরা একটি মুসলিম ও স্বাধীন জাতিকে ধ্বংস এবং তাদের ভূখণ্ড দখল করে নিতে চেয়েছে। জাতিসংঘসহ সমগ্র বিশ্ব ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসীদের নৃশংসতার কথা স্বীকার করেছে। অবশ্য সৌদি আরবের সাথে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আন্তরিকতা থাকার কারণে আগ্রাসীদের নৃশংসতার ক্ষুদ্র একটি অংশ তুলে ধরেছে তারা।

আনসারুল্লাহ প্রধান বলেন: সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যে খেলা খেলছে তাতে মুসলিম উম্মাহর ধ্বংস ডেকে আনবে। সৌদি সরকার আমেরিকার হাতের ক্রিড়ানক ছাড়া আর কিছুই নয়।

আবু জেহেলের দাবীর সাথে সৌদি আরবের দাবীর কোন পার্থক্য নেই -এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি শাসক গোষ্ঠির পদক্ষেপসমূহের সাথে ইসলাম ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।

তার সংযোজন: আগ্রাসীদের মোকাবিলার যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি সে বিষয়ে আমরা কখনই অনুতপ্ত নই। আগ্রাসীদের এই ১ হাজার দিনের বর্বরতা ও নৃশংসতার বিপরীতে আমাদের ১ হাজার দিনের প্রতিরোধকেও মনে রাখতে হবে। ইয়েমেনের জনগণ পশ্চিমাদের অত্যাধুনিক সামরিক টেকনোলোজির বিরুদ্ধে অটল থেকেছে এ দীর্ঘ সময়।

আব্দুল মালেক হুথি বলেন: আগ্রাসনের আগে আগ্রাসী জোট মনে করেছিল ইয়েমেনের জনগণ ২ সপ্তাহ, সর্বোচ্চ ২ মাস দৃঢ়তা দেখাবে। যদি ইয়েমেনের জনগণ আগ্রাসীদের সামনে আত্মসমার্পন করার সিদ্ধান্ত নিত তবে তা হত ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। আমরা এমন একটি অবস্থায় রয়েছি যা নিয়ে ইহকাল ও পরকালে গর্ব করা যায়।

তার সংযোজন: জোট বাহিনীর কোন কোন কর্মকর্তাদের হাতে কয়েকবার ‘আব্দু রাব্বি মানসুর হাদি’র চড়ও খাওয়ার তথ্যও আমরা পেয়েছি।

আমাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শত্রুদের প্রাসাদগুলোতে আঘাত হেনেছে। শত্রুর হামলা যত বৃদ্ধি পাবে আমরা মোকাবেলার কৌশলও বৃদ্ধি করবো। বহু ইয়েমেনি বর্তমানে শত্রুর মোকাবিলা এবং দেশরক্ষার জন্য যে কোন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

আগ্রাসীদের সর্বাত্মক চেষ্ট হচ্ছে ইয়েমেনে এমন দূর্ভিক্ষের সৃষ্টি করা যেমনটি ইয়েমেনে এর আগে কখনও দেখা যায়নি। আগ্রাসীদের উচিত সিরিয়া ও ইরাকে পরাজয় থেকে শিক্ষা নেয়া।

তিনি বলেন: সানয়াকে টার্গেট করলে, আমরা রিয়াদ ও আবুধাবিকে টার্গেট করবো। সানয়ার রাষ্ট্রপতি ভবনে বোমা বর্ষণ করলে, আমরা আপনাদের প্রাসাদগুলোকে টার্গেট করবো।

আমাদের সামনে প্রতিরোধ ব্যতীত আর কোন পথ খোলা ছিল না -এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: আমরা এ অবরোধ ও গণহত্যার মাঝে সৌদি আরবের কুৎসিত চেহারা দেখেছি এবং ইয়েমেনের জনগণ স্বৈরাচারী সৌদি শাসকদের নৃশংসতায় হতভম্ব।

তার সংযোজন: বর্তমান অবস্থায় আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি দিনের পর দিন উন্নত হচ্ছে এবং এগুলোর রেঞ্জও আমরা বাড়াতে সক্ষম হচ্ছি। এরপর আমরা আরও বেশী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবো।#

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

মিথ্যা অভিযোগে হেরাতে শিয়া আলেম ...
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইন্তিফাদার ...
আবনা : ইয়েমেন আগ্রাসীদের ...
সিরিয়া- লেবানন অভিন্ন সীমান্তে ...
বাহরাইনে ইমাম হোসাইন (আ.)এর ...
পশ্চিমবঙ্গে প্রবীণ খ্রিস্টান ...
মোরায় কক্সবাজারে দুই শতাধিক ...
ক্যান্সার দিবস : যে লক্ষণগুলো ...
আনসারুল্লাহ'র দখলে সৌদি আরবের ...
২৮০ জন শরণার্থীকে সমুদ্রে ...

 
user comment