বাঙ্গালী
Friday 22nd of November 2024
0
نفر 0

ইরান দুর্বল হলে বাড়বে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা

আকাশে চক্কর দিতে থাকা শিকারি পাখি যেমন মরভূমিতে শিকারের খোঁজে তীক্ষ্ণ নজর রাখে, তেমনিভাবে ইরানের ঘটনাপ্রবাহের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী।

আবনা ডেস্কঃ আকাশে চক্কর দিতে থাকা শিকারি পাখি যেমন মরভূমিতে শিকারের খোঁজে তীক্ষ্ণ নজর রাখে, তেমনিভাবে ইরানের ঘটনাপ্রবাহের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী। তারা আশায় আছে, এই বিক্ষোভের জেরেই যদি ইরানে সরকারের পতন ঘটে। ক্ষমতা কাঠামোয় পরিবর্তন আসে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইতিমধ্যে চলমান বিক্ষোভ নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা শুরু করেছে। টুইট করে চলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে ইসরায়েল বিক্ষোভকারীদের সাফল্য কামনা করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানে পরিবর্তনের সময় এসে গেছে। এ ছাড়া সৌদি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ উসকে দেওয়ার অভিযোগ এনেছে ইরান।
কিন্তু ইরান নিয়ে খেলতে যাওয়ার ফল হিতে-বিপরীতও হতে পারে। দেশটির সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
২০০৩ সালে শুরু হওয়া ইরাক-যুদ্ধে মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়ার পর বেশ কয়েক বছরে ওই অঞ্চলে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছে ইরান। সাদ্দাম-পরবর্তী যুগে ইরাক, লেবানন ও সিরিয়ায় অন্যতম খেলোয়াড় হয়ে উঠেছে দেশটি। এই পদক্ষেপ নিতে গিয়ে ওই অঞ্চলে বিভিন্ন শত্রুর জন্ম দিয়েছে ইরান।
অন্যতম আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব। দুই দেশের মধ্যে এখন সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। সম্প্রতি রিয়াদে রাজপ্রাসাদে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য ইরানকে দায়ী করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ইরানে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের গোপন চক্রান্ত করছে সৌদি আরব, এমন ধারণা সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত অদ্ভুত ঠেকত। কিন্তু চলমান উত্তেজনাকে উসকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তার অধিকাংশ সৌদি আরব ও ইউরোপের বিভিন্ন এলাকা থেকে পোস্ট করা বলে দাবি ইরানের।
আর গেল কয়েক মাসে ক্ষমতা সুসংহত করতে গিয়ে ইরানকে ক্ষুব্ধ করে, এমন অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
অবাক করা ব্যাপার হলো, ইরানে চলমান এই বিক্ষোভ-উত্তেজনার পেছনে অভ্যন্তরীণ কারণ খুব বেশি উল্লেখযোগ্য নয়। ট্রাম্পসহ মার্কিন নেতারা আশা প্রকাশ করছেন, ইরানে ‘দমনমূলক শাসকের’ পতন ঘটবে। কিন্তু তাঁরা এটা ভুলে যাচ্ছেন, হাসান রুহানি এক বছরের কম সময় আগে গণতান্ত্রিকভাবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
ইরানের ঘটনাপ্রবাহে ইসরায়েলও বেশ উৎফুল্ল। দেশটির কয়েকজন মন্ত্রী ইরান নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্তব্য করছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বেশ সচেতন। তিনি সমঝে বলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ভালো করেই জানেন, বর্তমান অবস্থার জন্য সামনের দিনগুলোতে ইরানের ক্ষোভ গিয়ে পড়তে পারে ইসরায়েলের ওপর। কারণ, ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স না থাকলেও ইসরায়েল কিন্তু ঠিকই ইরানের তোপের মুখে আছে।
এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব কিংবা ইসরায়েল ইরানকে দুর্বল করতে চাইলেও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা এড়াতে তাদের সতর্ক থাকতেই হবে।

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

ইরান না থাকলে সিরিয়া ও ইরাকে এখন ...
তুরস্কে বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমা ...
সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্মদাতা ...
যাকযাকির বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের ...
সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি কে? (পর্ব ...
সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে শোক ...
হোসাইনি দালানে আয়াতুল্লাহ ...
হযরত আলীর (আ.) প্রতি বিশ্বনবী (সা.)এর ...
বেকার সমস্যা আমেরিকায় চীন কীভাবে ...
'অটিস্টিক শিশু সমস্যা নয়, প্রয়োজন ...

 
user comment