বাঙ্গালী
Wednesday 8th of May 2024
0
نفر 0

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা বাতিলের আহ্বান পোপের

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা বাতিল করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মের গুরু পোপ ফ্রান্সিস।

আবনা ডেস্কঃ জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা বাতিল করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মের গুরু পোপ ফ্রান্সিস।
এজন্য তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে সংলাপ শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার খ্রিস্টধর্মের বড়দিনের বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান। খবর রয়টার্সের।
পোপ জেরুজালেম ইস্যুতে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি আলোচনার মাধ্যমে সংকটের একটি সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানান, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে দুই রাষ্ট্র সহাবস্থানে থাকতে পারে।
গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সেখানে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।
কিন্তু, ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর থেকেই মুসলিম বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও কড়া ভাষায় তার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তৃতীয় ইন্তিফাদার ডাক দিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে ইসরাইলি সেনারা গুলি চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৮ জনকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছে কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি।
ট্রাম্পের ওই ঘোষণার প্রতিবাদে গত ১২ ডিসেম্বর তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে ইসলামিক সহযোগিতা পরিষদের (ওআইসি) জরুরি সম্মেলন থেকে পূর্ব জেরুজালেমকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়া হয়।
এরপর গত ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আনা একটি রেজ্যুলেশন ১২৮-৯ ভোটে পাস হয়। জাতিসংঘ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘অকার্যকর’ উল্লেখ করে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওই সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানায়।
এ প্রেক্ষাপটে সোমবার বড়দিনে সেন্ট পিটারস স্কয়ারে উপস্থিত হাজার হাজার অনুসারীর সামনে রোমান ক্যাথলিকদের নেতা পোপ বলেন, ‘আসুন আমরা প্রার্থনা করি যেন সবপক্ষ আলোচনার মধ্যেমে একটি সমঝোতায় পৌঁছায় এবং ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ নিয়ে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হয়।’
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন-ইসরইলের সংঘাতের মূলে আছে জেরুজালেম নিয়ে বিবাদ। ইসরাইল পুরো জেরুজালেমকে তাদের ‘একক রাজধানী’ বলে বিবেচনা করে। অন্যদিকে, ১৯৬৭ সালে আরব যুদ্ধের পর দখল হয়ে যাওয়া পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী করতে চায়।
একই সঙ্গে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত জেরুজালেম। যদিও ইসরাইলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
তবে ১৯৯৩ সালে মার্কিন উদ্যোগে ফিলিস্তিন-ইসরাইলের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়। ট্রাম্পের সর্বশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে যা ভেস্তে গেল।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পর ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে সেখানে অন্তত ২ লাখ ইহুদি বসতি স্থাপন করেছে, যেটি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।


0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

তৃতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের ...
২৮৮০ সালের ১৬ মার্চ গ্রহাণুর ...
ক্যান্সার দিবস : যে লক্ষণগুলো ...
শহীদ ইরানি জেনারেলের জানাযা ও ...
Tribunaux militaires égyptiens jugent 271 membres de FM
দিল্লি সফরে মমতার ভিন্ন রাজনৈতিক ...
ইসলামী বিপ্লব ইরানকে আত্মপরিচয় ও ...
পারাচিনারে বোমা হামলা ৭০ জন হতাহত ...
ন্যাটোর বিবৃতির জবাবে যা বলল ...
রাখাইনে হত্যা ধর্ষণ তাণ্ডব

 
user comment