বাঙ্গালী
Sunday 1st of September 2024
0
نفر 0

ইয়েমেন ইস্যুতে সৌদি-মার্কিন ষড়যন্ত্র: টার্গেট ইরানকে দুর্বল করা

সৌদি আরব ও দখলদার ইসরাইল এখনো ইরানকে বিশ্বের জন্য হুমকি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত কয়েক মাস ধরে তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে প্রচারণার পাশাপাশি দেশটি ইয়েমেনে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ করেছে।

এদিকে, আমেরিকা ও ব্রিটেনের সরবরাহ করা নিষিদ্ধ অস্ত্র দিয়ে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেনে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ইয়েমেনের বিরুদ্ধে চলমান মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রতি সমর্থন দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন পদদলিত করে যাচ্ছেন। আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চার্লস চামেৎয বলেছেন, ইয়েমেন যুদ্ধে আমেরিকার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। আমেরিকা প্রকাশ্যে আল কায়েদা দমনে নামে গোপনে সৌদি আরবকে দিয়ে ইয়েমেন যুদ্ধ চালাচ্ছে।"

ইয়েমেনকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও সৌদি আরবের বিপদজনক কর্মকাণ্ড নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। তারা এখন ইয়েমেনে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর অভিযোগ তুলে ইরানের প্রতিরক্ষা ও প্রতিরক্ষা শক্তিকে টার্গেট করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত লানা নাসিবে আমিরাতের দৈনিক ন্যাশনালকে দেয়া সাক্ষাতকারে ইয়েমেন ইস্যুতে জাতিসংঘে ইরানের বিরুদ্ধে খসড়া প্রস্তাব উত্থাপনে ব্রিটেনের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এ পদক্ষেপের প্রতি আমিরাতের সমর্থন রয়েছে। ব্রিটেনের উত্থাপিত ওই প্রস্তাবে দাবি করা হয়েছে, ইরান ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাঠিয়ে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ঘোষিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে।

কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই এবং ইয়েমেন দখল করতে গিয়ে সৌদি আরবই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। অনলাইন ভিত্তিক নিউজ সাইট রাই আল ইয়াওম কিছুদিন আগে জানিয়েছে, ইয়েমেন সংকট থেকে সৌদি আরবকে বের করে আনার জন্য রিয়াদ লন্ডনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, ইয়েমেন যুদ্ধে শক্তির ভারসাম্যে পরিবর্তন এসেছে। ইয়েমেনি যোদ্ধাদের পাল্টা প্রতিরোধের কারণে এই যুদ্ধ সৌদি আরব ও তার মিত্রদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে ইরানের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক গবেষক ড. আহমাদিয়ান বলেছেন, ইয়েমেন যুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে, আনসারুল্লাহ যোদ্ধারাই ইয়েমেনের প্রধান শক্তি এবং ভবিষ্যতেও আনসারুল্লাহর বক্তব্যই হবে শেষ কথা।

ইয়েমেনের সামরিক ও রাজনৈতিক কাঠামোয় আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা এতোটা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে যে, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে তারা ধীরে ধীরে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। সৌদি আরব ও তার আঞ্চলিক মিত্ররা শিকার করেছে, ইয়েমেনের সামরিক ও রাজনৈতিক কাঠামোয় পরিবর্তন আনা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ অবস্থায় ইয়েমেন ইস্যুতে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সৌদি আরব কিছুই করতে পারবে না বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।।

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন পুজদেমন
৪১৮ যাত্রী নিয়ে প্রথম হজ্ব ফ্লাইট ...
পাকিস্তানের কুয়েত্তা শহরে ...
বাহরাইন সরকারকে অবশ্যই ...
সামেরা শহরে ৫ বিস্ফোরণ ; বদর ...
ইয়েমেনের জনগণের সমর্থনে লন্ডনে ...
عراقی فوج اور سید الشھدا(ع) رضاکار فورس کا صوبہ ...
ইমাম মুসা কাযেম (আ) এর শাহাদাত ...
রায় প্রত্যখ্যান করে সমাবেশ : ...
পাকিস্তানেও লেগেছে একুশের ...

 
user comment