সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা 'সানা' জানিয়েছে, নতুন দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী 'আন-নুসরা ফ্রন্ট', 'ফায়লাকুর রাহমান' ও 'আহরার আশ-শামস' পূর্ব গৌতায় রাসায়নিক হামলার আরেকটি নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করেছে।
আবনা ডেস্কঃ আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিরিয়ার পূর্ব গৌতায় রাসায়নিক হামলা চালিয়ে তা আসাদ সরকারের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নতুনকরে দিকনির্দেশনা দিয়েছে বলে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা 'সানা' জানিয়েছে, নতুন দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী 'আন-নুসরা ফ্রন্ট', 'ফায়লাকুর রাহমান' ও 'আহরার আশ-শামস' পূর্ব গৌতায় রাসায়নিক হামলার আরেকটি নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করেছে।
এ পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ত্রাসীরা ফ্রন্ট লাইনে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অবস্থানস্থলের অদূরে রাসায়নিক অস্ত্র মোতায়েন করবে এবং সেখান থেকে ওই অস্ত্র দিয়ে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালাবে। এরপর বলবে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ওই হামলা চালিয়েছে। এ হামলার মাধ্যমে রাজনৈতিক ও প্রচারণাগত স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চালাবে। আর এতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলো।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সিরিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে কখনোই রাসায়নিক অস্ত্র ছিল না। কাজেই তাদের পক্ষ থেকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রশ্নই আসে না।
সিরিয়া ২০১৩ সালেই রাসায়নিক অস্ত্র বিষয়ক কনভেনশন সিডাব্লিউসি-তে সই করেছে এবং সব রাসায়নিক অস্ত্র ওপিসিডাব্লিউ ও জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন যৌথ মিশনের কাছে হস্তান্তর করেছে। ওই যৌথ মিশনের তত্ত্বাবধানে সেসব অস্ত্র ধ্বংসও করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও কয়েকটি রাসায়নিক হামলার জন্য সিরিয়ার সরকার ও সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো।
সম্প্রতি নতুনকরে সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে পূর্ব গৌতায় রাসায়নিক গ্যাসের হামলা চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু সিরিয়ার সরকার ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা এ ধরনের কোনো হামলা চালায় নি। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা সন্ত্রাসীরাই ঘটিয়েছে।#