ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন হচ্ছেন অপরাধী।
আবনা ডেস্কঃ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সিরিয়ায় আজ ভোরের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইরাক ও আফগানিস্তানের মত সিরিয়ায় এবং গোটা মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা নিশ্চিতভাবে পরাজিত হবে। ইরান অতীতের মতো এখনও প্রতিরোধ সংগ্রামীদের পাশে রয়েছে বলে তিনি জানান।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন হচ্ছেন অপরাধী। আজ (শনিবার) রাজধানী তেহরানে দেশের পদস্থ কর্মকর্তা ও মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেছেন, মার্কিন সরকারসহ পশ্চিমা কোনো কোনো সরকার ঔপনিবেশিক ও আন্তর্জাতিক একনায়কতান্ত্রিক নীতিমালার আলোকে কাজ করছে। কিন্তু ডিক্টেটর বা একনায়করা বিশ্বের কোথাও সফল হবে না এবং মার্কিন সরকারও এ অঞ্চলে তার লক্ষ্যগুলো অর্জনে সুনিশ্চিতভাবে ব্যর্থ হবে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক এক বক্তব্য তুলে ধরেছেন যেখানে ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে সাত ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেও কোনো কিছুই পায়নি। যত অর্থই মার্কিন সরকার মধ্যপ্রাচ্যে ব্যয় করুক না কেন ভবিষ্যতেও তারা সেখানে কিছুই পাবে না বলে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সতর্ক করে দেন।
তিনি বলেন, মার্কিন সরকারের লক্ষ্য কেবল সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান নয়, আসলে তারা মুসলিম উম্মাহ ও ইসলামের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করছে। তাই মুসলিম সরকারগুলোর উচিত নয় মার্কিন ও আগ্রাসী কোনো কোনো পশ্চিমা সরকারের লক্ষ্যগুলোর সহযোগী হওয়া।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেছেন, সিরিয়া ও পশ্চিম এশিয়ায় ইরানের উপস্থিতির কারণ হল জুলুমের মোকাবেলায় গড়ে-ওঠা প্রতিরোধ সংগ্রামকে সহায়তা দেয়া। আর এসব সহায়তা পেয়ে সিরিয় সেনারা সাহসিকতার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের পরাজয় ঘটাতে সক্ষম হয়েছে যদিও ঐসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে মার্কিন সরকারসহ পশ্চিমাদের ও সৌদি সরকারের মত তাদের অনুচর সরকারগুলোর হাতে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলেই কোনো মজলুম যদি সাহায্যের মুখাপেক্ষী হয় ইরান সেখানে হাজির হবে এবং মজলুম ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি ইসলামী ইরানের সমর্থনের দর্শনও হচ্ছে এটাই।
তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, মজলুম ফিলিস্তিনি জাতি প্রতিরোধ সংগ্রামের সুবাদে আজ শক্তিশালী ফিলিস্তিনে পরিণত হয়েছে এবং নিঃসন্দেহে ইহুদিবাদী দখলদারদের ওপর তাদের বিজয় ঘটবে ও ফিলিস্তিন তার প্রকৃত মালিক ফিলিস্তিনিদের কাছেই ফিরে আসবে। #