ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয় জানায়, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাটির হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এ সমঝোতায় সই করবেন।
আবনা ডেস্কঃ রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নির্মূল অভিযানের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মধ্যে শুক্রবার একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে যাচ্ছে।
ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয় জানায়, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাটির হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এ সমঝোতায় সই করবেন।
বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনবিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম বলেন, চুক্তি অনুসারে ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের আয়োজন করবে। মিয়ানমারে নির্মম নিপীড়নের শিকার এই জনগোষ্ঠীর সদস্যরা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে সম্মত কিনা, সেই মতামত নেবে, বিশ্রাম-শিবিরের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবহনসহ অন্যান্য বিষয় দেখভাল করবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আগে ইউএনএইচসিআর তাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা, সহায়তা ও তহবিল সংগ্রহের ব্যবস্থা করবে।
বাংলাদেশের ভেতরে দুটি বিশ্রাম-শিবিরের ব্যবস্থা করা হবে। রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের আগে সেখানে রোহিঙ্গারা স্বল্প সময়ের জন্য অবস্থান করতে পারবেন।
রাখাইনে গত বছরের আগস্টের শেষ দিক থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নিধন অভিযান শুরু করলে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এ সময়ে হত্যা, ধর্ষণসহ তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাদের বাড়িঘর ও ক্ষেতের ফসল আগুনে ভস্মীভূত করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় মিয়ানমার সরকার।
আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার একটি দ্বিপক্ষীয় প্রত্যাবাসন চুক্তি সই করে।
জাতিসংঘ ও রোহিঙ্গারা বলছে, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসন সহায়ক নয়।
এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের জন্য স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাসহকারে ও স্থায়ীভাবে ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। কাজেই দেশটির সরকারকে সেই পরিস্থিতি তৈরির দায়িত্ব নিতে হবে।
জেনেভায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত এইচটিন লিন বলেন, এপ্রিলের শেষ নাগাদ ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে তার দেশ একটি প্রত্যাবাসন চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবে বলে তার আত্মবিশ্বাস।