প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও মিসরের পক্ষ থেকে আরোপিত অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার মানুষ জাতীয় মানবাধিকার কমিটিতে অভিযোগ দিয়েছেন।
আবনা ডেস্কঃ কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের এক বছর পূর্ণ হয়েছে ৫ জুন। এই এক বছরে অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করেছে তাদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে মানবাধিকার কমিটি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও মিসরের পক্ষ থেকে আরোপিত অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার মানুষ জাতীয় মানবাধিকার কমিটিতে অভিযোগ দিয়েছেন। গত এক বছরে অবরোধের কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ এসেছে ৫১৩টি। এর মধ্যে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ৬৬টি, আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ১৪৮টি, বাহরাইনের বিরুদ্ধে ২৮টি ও মিসরের বিরুদ্ধে ২৭১টি অভিযোগ রয়েছে।
মালিকানা সম্পর্কিত ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ এসেছে মোট এক হাজার ২৩৪টি। এর মধ্যে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ৬৯৭টি, আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ৪৫৮টি, বাহরাইনের বিরুদ্ধে ৫৫টি ও মিসরের বিরুদ্ধে ২৪টি অভিযোগ রয়েছে।
অবরোধের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে মোট ৬৪৬টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ৩৪৬টি, আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ৮২টি, বাহরাইনের বিরুদ্ধে ২১৮টি অভিযোগ রয়েছে।
অবরোধের কারণে স্বাস্থ্যসুবিধা বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ এসেছে ৩৭টি। এর মধ্যে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ১৯টি, আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ৪টি ও বাহরাইনের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ রয়েছে।
অবরোধের এক বছরে শ্রম ও কর্মক্ষেত্রে অধিকার বঞ্চিত হওয়ায় অভিযোগ জমা পড়েছে মোট ১১০টি। এর মধ্যে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ৬৭টি, আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ৬টি ও বাহরাইনের বিরুদ্ধে ৩৭টি অভিযোগ এসেছে।
সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করেছেন যাতায়াতে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিক ও অভিবাসীরা। এ ধরনের অভিযোগের মোট সংখ্যা এক হাজার ২৯৭। এর মধ্যে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ৭৭০টি, আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ৩৪৮টি, বাহরাইনের বিরুদ্ধে ৪১টি ও মিসরের বিরুদ্ধে ৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
পাশাপাশি অবরোধ শুরু হওয়ায় অবরোধকারী দেশগুলোতে বসবাস নিয়ে অভিযোগ করেছেন ৯৩ জন ভুক্তভোগী। এর মধ্যে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ৫৭টি, আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ৪টি ও বাহরাইনের বিরুদ্ধে ৩২টি অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া অবরোধকারী দেশগুলো থেকে দাপ্তরিক কাগজপত্র ইস্যু করায় জটিলতা, জোরপূর্বক আটক রাখা, গ্রেপ্তার ও অপমান করা হয়েছে এমন অভিযোগও করেছেন অনেকে। কাতার জাতীয় মানবাধিকার কমিটি এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে অভিযোগকারীদের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়ে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আদালতে মামলা দায়ের করেছে।