বাঙ্গালী
Friday 22nd of November 2024
0
نفر 0

এক নজরে ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.)-এর জীবনবৃত্তান্ত

‘মহান  আল্লাহ তার (ইমাম হাসান মুজতাবা) মাধ্যমে আমার উম্মতের মধ্যে দু’দলকে সন্ধি করাবেন এবং তারা তার আশীর্বাদপূর্ণ অস্তিত্বের মাধ্যমে নিরাপত্তা,স্বস্তি ও শান্তি লাভ করবে।’- রাসূলুল্লাহ (সা.)

জন্ম:: ৩য় হিজরির ১৫ রমযান,মঙ্গলবার অথবা বৃহস্পতিবার,পবিত্র মদীনা নগরী।

নাম: হাসান (তাওরাতে শুব্বার এবং ইনজীলে তাব্)

কুনিয়াত: আবু মুহাম্মাদ

লকব: মুজতাবা,তাইয়্যেব,সাইয়্যেদ,ওয়ালী,তাকী,হুজ্জাত,সিব্ত,

কায়েম,ওয়াযির,আমীন।

আংটির ছাপ : আল ইযযাতু ইলাল্লাহ্ (সম্মান আল্লাহরই জন্য)

প্রহরী: দু’ব্যক্তি মহান ইমামের প্রহরী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। একজনের নাম সাফিনা (রাসূলুল্লাহ সা.-এর গোলাম) এবং অন্যজনের নাম কায়েস ইবনে আবদুর রহমান।

ইমামত কাল : প্রায় ১০ বছর (৪০ হিজরির ২১ রমজান শুক্রবার তাঁর ইমামতকাল শুরু হয়)

আয়ুষ্কালের সংক্ষিপ্ত বিবরণ : ইমাম হাসান (আ.) যে বছর ভূমিষ্ট হন তখন তাঁর মাতা হযরত ফাতেমা যাহরা (সা. আ.)-এর বয়স ছিল ১২ বছর। তাঁর জীবনের প্রায় আট বছর কাটে নানা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে,আট বছরের কিছু বেশি সময় কাটে তাঁর মহীয়ষী মাতা হযরত ফাতেমা যাহরার সাথে,আর প্রায় ৩৭ বছর কাটে তাঁর মহান পিতা হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)-এর সান্নিধ্যে। অতঃপর প্রায় ১০ বছর তাঁর ইমামতকাল ছিল। সব মিলিয়ে এ মজলুম ইমামের আয়ুষ্কাল ৪৭ থেকে ৫০ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি : তিনি জীবনে ২৫ বার পায়ে হেঁটে হজ্জ করেন,দু’বার নিজের সমুদয় সম্পদ গরীব ও ফকিরদের মধ্যে বণ্টন করে দেন,দামেশকের অবাধ্য গভর্নর মু‘আবিয়ার উপর্যুপরি ষড়যন্ত্র ও স্বীয় সঙ্গীবৃন্দের সীমাহীন বিশ্বাসঘাতকতা ও অসহযোগিতার ফলে তিনি খেলাফত পদের ব্যাপারে আমীরে মু‘আবিয়ার সাথে সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ইতিহাসের নির্ভরযোগ্য বর্ণনা মোতাবেক এ ঘটনা তাঁর ইমামত লাভের ছয় মাসের কিছু বেশি সময়ের মাথায় সংঘটিত হয়।

শাহাদাত : আমীরে মু‘আবিয়ার প্ররোচনায় স্ত্রী জা’দা বিনতে আশআছ বিন কায়েস কিন্দী শরবতের সাথে বিষ মিশিয়ে তা ইমাম হাসান (আ.)-কে পান করতে দেয়। এর ঠিক ৪০ দিন পর অর্থাৎ ৫০ মতান্তরে ৫৩ হিজরির ২৮ সফর বৃহস্পতিবার এ মহান ইমাম শাহাদাত বরণ করেন। ইমামের জানাযা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজায় যিয়ারাতের জন্য নিয়ে গেলে হযরত আয়েশার বাধার মুখে এক অপ্রীতিকর অবস্থার অবতারণা ঘটে এবং এক পর্যায়ে ইমামের জানাযা প্রতিহত করার লক্ষ্যে সেদিকে তীরবর্ষণ করা হয়। পরে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর নির্দেশে জানাযাকে জান্নাতুল বাকী গোরস্তান অভিমুখে পরিচালিত করা হয় এবং সেখানেই দাফন করা হয়।

ইমামের সন্তানবর্গ : সাইয়্যেদ মুহসীন আমীনের মতে ইমামের ১৫ কন্যা এবং ৮ পুত্রসন্তান ছিল। তবে কোন কোন মুহাদ্দিস ইমামের সর্বমোট ১৫ জন সন্তান ছিল বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন।

ইমাম হাসান (আ.)-এর যিয়ারতের নামাযের নিয়ম : মোট দু’রাকাত নামায। প্রত্যেক রাকাতে সূরা হামদ পাঠের পর ২৫ বার সূরা তাওহীদ পাঠ করতে হয়। অতঃপর নামাযের সালাম ফিরিয়ে হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর তাসবীহ পাঠ করতে হয়। অতঃপর যদি যিয়ারতকারী ইমামকে উসিলা করে  আল্লাহর কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করে তাহলে ইনশা  আল্লাহ তা পূরণ হবে।

 

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

ফাদাক সম্পর্কে “প্রথম খলিফার ...
পবিত্র কুরআন ও সুন্নাতের আলোকে ...
কোমে হযরত ফাতেমা মাসুমার (আ.) জন্ম ...
শ্রেষ্ঠ নারী হযরত ফাতিমাতুয ...
ইমাম হাসান (আ.) এর শাহাদাত
নবী রাসূল প্রেরণের প্রয়োজনীয়তা
Apabila ada sebagian hukum Islam yang nampaknya bertentangan serta kontradiktif dengan ...
আবতার কে বা কা’রা?
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর কতিপয় খুতবা ও ...
ইমাম হোসাইন (আ.)-এর মহান শাহাদাতের ...

 
user comment