বাঙ্গালী
Sunday 1st of September 2024
0
نفر 0

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিণতি: বিজ্ঞানে ইরানের অগ্রগতি বহুগুণ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিণতি: বিজ্ঞানে ইরানের অগ্রগতি বহুগুণ

আমেরিকাসহ পশ্চিমা মিডিয়া প্রচার করে বেড়াচ্ছে যে নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

আবনা ডেস্কঃ আমেরিকাসহ পশ্চিমা মিডিয়া প্রচার করে বেড়াচ্ছে যে নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।অথচ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইরানের ক্রম-উন্নতি ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে বিশ্ববাসীর সামনে।
চল্লিশ বছর ইরান আমেরিকা ও ইউরোপের অন্যায় নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করেছে। বিচিত্র অবরোধ আর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে।
ইসলামিক ওয়ার্ল্ড সায়েন্স সাইটেশান সেন্টার বা আই.এস.সি'র প্রধান মুহাম্মাদ জাওয়াদ দেহকানি বলেছেন,সর্বশেষ আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী বিপ্লব পরবর্তীকালে ইরান বৈজ্ঞানিক দিক থেকে বিপ্লব পূর্ববর্তীকালের তুলনায় উনিশ গুণ বেশি এগিয়ে গেছে। এ দিক থেকে ইরান এখন বিশ্বে ষোলোতম অবস্থানে রয়েছে।
কাজেই আমেরিকা ও তাদের মিত্ররা যে ইরানের ওপর অবরোধ আর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানকে ব্যাপক কোনঠাসা করে ফেলবে বলে আশা করেছিল, বাস্তবে ঘটেছে তার উল্টো ফলাফল। নিষেধাজ্ঞার ভেতরেই ইরানের সকল উন্নয়ন ঘটেছে। জ্ঞান-গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নত অবস্থানে রয়েছে। যেমন ন্যানো প্রযুক্তিতে ইরান বিশ্বের দশটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। জেনেটিক বিজ্ঞানে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে প্রথম স্থান এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ১৬ তম স্থানে রয়েছে। অ্যারোস্পেইস সায়েন্সেও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে প্রথম এবং বিশ্বে ১৫ তম অবস্থানে রয়েছে।
গত নভেম্বরে ইরানের মাশহাদ শহরে অবস্থিত রাজাভি হাসপাতালে হার্ট বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন ইউরোপীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানী প্রফেসর ফ্রান্সিস্কো ফ্রেডরিক নাকারলা। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছিলেন: ইউরোপীয় দেশগুলো চিকিৎসা ক্ষেত্রে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী। এ বিষয়টি প্রমাণ করে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানের অগ্রগতি দমিয়ে রাখা যাবে না।
নি:সন্দেহে ইরানের তরুণরা তাদের মেধা ও প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে এই অগ্রগতির ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে। আমেরিকার আশাভঙ্গ করে ইরান উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্মাণ করবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা গত নভেম্বর মাসে আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয় দিবসে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। ওই সমাবেশে তিনি বলেন, চল্লিশ বছর ধরে বৃহৎ শয়তানের অসৎ উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিয়েছে ইরান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে শাহী স্বৈরতান্ত্রিক যুগে ফিরিয়ে নেয়া। এ প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, আমেরিকার পরাজয় সম্পর্কে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশেষজ্ঞদের ধারণাই সত্যে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে, ইরানি জাতি তাদের আকাঙ্ক্ষা, প্রেরণা, কর্মতৎপরতা এবং তরুণদের চেষ্টা প্রচেষ্টার মাধ্যমে ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আগের চেয়েও উজ্জ্বলতরো ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শক্তি এখন হার্ড পাওয়ারের স্থান দখল করেছে। সুতরাং সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।#

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

আমাকে এ নারীর হাত হতে মুক্তি দাও!: ...
ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘প্রত্যাশা’ ...
বাস্তবতার দর্পনে ওহাবি মতবাদ (১১ - ...
চাকরিতে বাধা হিজাব ; নিরাপত্তা ...
ইরান মুসলিম জাতিগুলোর জন্য আদর্শ ...
সূরা আ'রাফ;(২৬তম পর্ব)
ভারতে যে দাঙ্গা মুসলিম নারীদের ...
সুফীবাদ প্রসঙ্গে
মিয়ানমারে ইমাম হুসাইন (আ.) এর ...
পোপ ও ইয়েমেনের মানুষ হত্যাকারীরা

 
user comment