এ সৃষ্টিলোকের কেন্দ্রবিন্দু হযরত রাসূল আকরাম (সাঃ)। আল্লাহ তা’আলা প্রথমেই রাসূলে আকরামের (সাঃ) নূর সৃষ্টি করেন এবং সৃষ্টিকর্মের এক পর্যায়ে সকল নবী রাসূলের (আঃ) রূহ (আত্মা) সৃষ্টি করেন অর্থাৎ পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয়ার বহু পূর্বেই তাঁদেরকে নবী হিসাবে মনোনীত করা হয়। কিন্তু অন্যান্য নবী রাসূলগণের রূহ সৃষ্টির বহু পূর্বেই আল্লাহ্ তা’আলা হযরত রাসূলে আকরাম মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নূর সৃষ্টি করার পর আরও কয়েকজনের নূরানী সত্তা সৃষ্টি করেন। তাঁরা হচ্ছেন হযরত ফাতেমা, হযরত আলী, হযরত ইমাম হাসান ও হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ)। এঁদের সম্পর্কে বিভিন্ন ইসলামী সূত্রেই শুধু নয়, ইসলাম-পূর্ব যুগের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থেও বিভিন্নভাবে উল্লিখিত হয়েছে।
হাদীসে রাসূলে আকরাম (সাঃ) ও পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবের সাক্ষ্য থেকে অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে, হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ) হচ্ছেন একমাত্র নারী যাঁকে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর সৃষ্টিকর্মের প্রথম পর্যায়েই নূর আকারে সৃষ্টি করে পবিত্র নুরে মুহাম্মদী (সাঃ) এর পাশে স্থান দান করেন এবং হযরত আদম (আঃ) এর তওবাহ্ কবুলের জন্য অন্যতম ওয়াসিলাহ্ স্বরূপ করেন।
এছাড়া বোখারী, তিরমিযী, মুসনাদে আহমাদ, মুস্তাদরাকে হাকেম এবং আরও অনেক হাদীস গ্রন্থে ও বহু তাফসীর গ্রন্থে হযরত নবী করীম (সাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস উদ্ধৃত করা হয়েছে যাতে হযরত ফাতেমাকে (আঃ) “মু’মিন নারীদের নেত্রী”, “উম্মাতে মুহাম্মাদীর নারীদের নেত্রী”, “জগতসমূহের নারীদের নেত্রী” ও “বেহেশতে নারীদের নেত্রী” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন যে, নারীকুলের মধ্যে চারজন মহিলা সকলের শ্রেষ্ঠ, তাঁরা হচ্ছেন হযরত মরিয়ম (আঃ), হযরত আসিয়াহ (আঃ), হযরত খাদীজাহ্ (আঃ) ও হযরত ফাতেমা (আঃ) এবং এদের মধ্যে হযরত ফাতেমা (আঃ) এর মর্যাদা সকলের ওপরে।
শুধু তাই নয়, সমগ্র মানবকুলের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি বেহেশতে প্রবেশ করবেন তিনি হচ্ছেন হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ)। এ প্রসঙ্গে বুখারী, মুসনাদে আহমাদ, তাবাকাতে ইবনে সা’দ প্রভৃতি বিভিন্ন গ্রন্থে নবী করীম (সাঃ) থেকে হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে। বলা বাহুল্য, এসব হাদীসে হযরত ফাতেমা (আঃ)কে নারীকুলের মধ্যে সর্বপ্রথম বেহেশতে প্রবেশকারিণী হবেন বলে উল্লেখ করা হয় নি, বরং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম তিনিই বেহেশতে প্রবেশ করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে আল্লাহ্ তা’আলা হযরত ফাতেমা (আঃ) এর মাধ্যমে সমগ্র নারীকুলকে এক ব্যতিক্রমধর্মী মর্যাদার অধিকারী করেছেন।
হযরত ফাতেমা (আঃ) এর মর্যাদা আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকেই নির্ধারিত ছিল। আল্লাহ্ তা’আলা হযরত ফাতেমা (আঃ), হযরত আলী (আঃ), হযরত ইমাম হাসান (আঃ) ও হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) কে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ) এর আহলে বাইতের মর্যাদা দিয়েছেন। হযরত নবী করীম (সাঃ) এর স্ত্রীগণও এ মর্যাদা লাভ করেন নি।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, “আহলে বাইত” এর মানে “গৃহবাসিগণ” অর্থাৎ পরিবারের সদস্যগণ। সে অর্থে নবী করীম (সাঃ) এর স্ত্রীগণ অবশ্যই তাঁর আহলে বাইতের অন্তর্ভূক্ত ঠিক যেভাবে অন্য যেকোন ব্যক্তির স্ত্রীই তার আহলে বাইত বা পরিবারের সদস্য। এটা হচ্ছে আভিধানিক তাৎপর্য। কিন্তু কুরআন মজীদে “আহলে বাইত” একটি পরিভাষা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে যা পূর্ববর্তী অন্য কোন পরিবার সম্পর্কে প্রযোজ্য নয়। এতে ব্যক্তি হিসাবে নয়, নবী হিসাবে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ) এর আহলে বাইতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার সদস্যগণ বিশেষভাবে আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে মনোনীত এবং যারা পাপ পঙ্কিলতা থেকে পুরোপুরি মুক্ত ছিলেন।
সূরাহ্ আহ্যাবের ৩৩নং আয়াতে এরশাদ হয়েছে, “হে আহলে বাইত! নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তোমাদের থেকে অপকৃষ্টতা ও অপরিচ্ছন্নতাকে দূরীভূত করে দিতে এবং তোমাদেরকে পরিপূর্ণরূপে পবিত্র করে দিতে চান।”
ইসলামী উম্মাহর সকল মাযহাবের অভিন্ন মত হচ্ছে এই যে, এ আয়াতে “আহলে বাইত” বলতে হযরত ফাতেমা (আঃ), হযরত আলী (আঃ), হযরত ইমাম হাসান (আঃ) ও হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ)কে বোঝানো হয়েছে। এ ইজমা’র পেছনে ইসলামের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অবদান রয়েছে। তা হচ্ছে নাজরানের খৃস্টানদের সাথে মুবাহালার ঘটনা। নবী করীম (সাঃ) এর নবুওয়াতের সত্যতা সম্বন্ধে নিশ্চিতভাবে জানা সত্ত্বেও নাজরানের খৃস্টান ধর্মনেতারা তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকমের বিভ্রানি- ছড়াচ্ছিল। এমতাবস্থায় তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করার জন্যে আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে নির্দেশ আসে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেনঃ “(হে রাসূল!) তোমার কাছে অকাট্য জ্ঞান এসে যাওয়ার পরেও যে তোমার সাথে এ ব্যাপারে ঝগড়ায় অবতীর্ণ হয় তাকে বলে দাও : আসো, আমরা আমাদের পুত্রদের ও তোমাদের পুত্রদের, আমাদের নারীদের ও তোমাদের নারীদের এবং আমাদের নিজেদের ও তোমাদের নিজেদের আহবান করি, অতঃপর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যাতে মিথ্যাবাদীদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হয়।” (আলে ইমরানঃ ৬১)
সকল ইসলামী সূত্রের অভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী নবী করীম (সাঃ) নির্ধারিত দিবসে নাজরানের খৃস্টান ধর্মনেতাদের সাথে পারস্পরিক অভিসম্পাতের জন্যে বহির্গত হবার সময় শুধু হযরত ফাতেমা (আঃ), হযরত আলী (আঃ), হযরত ইমাম হাসান (আঃ) ও হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ)-কে সাথে নেন এবং বের হবার পূর্বে এ চারজনকে একটি চাদর দিয়ে ঢেকে নিয়ে আল্লাহর নিকট দোআ করেন তাতে তাঁদেরকে তিনি “আমার আহলে বাইত” বলে উল্লেখ করেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত খৃস্টান ধর্মনেতারা অভিসম্পাতের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ থেকে বিরত থাকে।
আহলে বাইতের বিষয়টি যেহেতু আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ছিল তাই এ ব্যাপারে উম্মাহাতুল মু’মিনীন অর্থাৎ নবী করীম (সাঃ) এর স্ত্রীগণের তাতে অন্তর্ভূক্ত না হতে পারার কারণে কোন ক্ষোভ বা অসন্তুষ্টি ছিল না। সাহাবায়ে কেরাম (আঃ) এ ব্যাপারে পুরোপুরি অবগত ছিলেন।
মোদ্দাকথা, হযরত ফাতেমা (আঃ) যে আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকেই নারীকুল শিরোমণি ও নারীকুলের চূড়ান্ত আদর্শরূপে মনোনীত ছিলেন তা এক বিতর্কাতীত ব্যাপার।
হযরত ফাতেমা (আঃ) এর জীবনকাল ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। কিন্তু আল্লাহ্ তা’আলার নৈকট্য হাসিল, মানবজাতির কল্যাণে অবদান রাখা এবং আদর্শরূপে নিজেকে উপস্থাপনের জন্যে দীর্ঘায়ূ কোনো শর্ত নয়। হযরত ফাতেমা (আঃ) তাঁর স্বল্পকালীন জীবনেই আদর্শ কন্যা, আদর্শ স্ত্রী, আদর্শ মাতা ও আদর্শ নারীরূপে তাঁর যথাযথ ভূমিকা পালন করে গেছেন্। তিনি সুখে, দুঃখে ও সংগ্রামে সর্বাবস্থায় ছায়ার মত নবী করীম (সাঃ)-এর পাশে ছিলেন। এ কারণে তাঁকে “উম্মে আবিহা” অর্থ্যাৎ “তাঁর পিতার মা” বলে উল্লেখ করা হতো।
তাঁকে স্ত্রী বা পুত্রবধূ করার জন্য আরবের ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নবী করীম (সাঃ) তা গ্রহণ করেন নি, বরং হযরত ফাতেমা (আঃ) এর বর হিসাবে হযরত আলী (আঃ) কে বেছে নেন যিনি ছিলেন ইসলামের শ্রেষ্ঠতম সন্তান, যিনি কখনোই শির্ক্ করেন নি, পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন, যিনি ছিলেন জ্ঞানের নগরীরূপ নবী করীম (সাঃ) এর জ্ঞানের দরজা এবং বীরত্ব, সাহসিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও ধার্মিকতায় সকলের শ্রেষ্ঠ।
হযরত ফাতেমা (আঃ) ছিলেন আদর্শ মাতা। তিনি তাঁর তিন সন্তান হযরত ইমাম হাসান (আঃ), হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) ও হযরত যায়নাব (আঃ) কে এমনভাবে গড়ে রেখে যান যে, তাঁরা ইসলামের ইতিহাসে সিদ্ধান্তকর ও দিকনির্দেশক ভূমিকা পালন করেন।
ইয়াকুবী ও মাস’উদীসহ অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে, হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ) হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর নবুওয়াতে অভিষিক্ত হবার পর পঞ্চম বছরে ২২শে, মতান্তরে ২০শে জমাদিউস সানী তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। নবী করীম (সাঃ)-এর মি’রাজের পরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন বলেও বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত আছে। (এ থেকে মনে হয়, মি’রাজের ঘটনা নবুওয়াতের চতুর্থ বছরে হয়ে থাকবে।) এসব হাদীস অনুযায়ী নবী করীম (সাঃ) মি’রাজে গমন করে বেহেশতে একটি বিশেষ ফল ভক্ষণ করেন, এরূপ ফল পৃথিবীতে নেই। তাঁর পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের পরে এ ফলেরই রূপান্তরের মধ্য দিয়ে হযরত ফাতেমা (আঃ) মাতৃগর্ভে আগমন করেন।
হাদীস অনুযায়ী হযরত নবী করীম (সাঃ) তাঁর নাম রাখেন “ফাতেমা” যার অর্থ “যাকে আলাদা করে রাখা হয়েছে বা দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে”। যেহেতু তিনি অন্য সমস্ত নারী থেকে আলাদা মর্যাদার অধিকারী তাই তাঁকে এ নাম দেয়া হয়েছে। হযরত ইমাম জা’ফর সাদেক (আঃ) বলেছেন, তাঁকে এ কারণে “ফাতেমা” বলা হয়েছে যে, তিনি সকল প্রকার নৈতিক ও চারিত্রিক কদর্যতা থেকে দূরে ছিলেন। নবী করীম (সাঃ) থেকে বর্ণিত এক হাদীস অনুযায়ী হযরত ফাতেমা (আঃ)-কে এবং যারা তাঁকে অনুসরণ করেন তাঁদেরকে দোযখের আগুন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে বলে তাঁকে এ নাম দেয়া হয়েছে।
হযরত ফাতেমা (আঃ) তাঁর বিভিন্ন গুণের কারণে বহু উপাধির অধিকারিণী ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে সিদ্দিকাহ্ (সত্যবাদিনী), মুবারাকাহ্ (বরকতময়), তাহেরাহ্ (পবিত্রা), যাকীয়াহ্ (পরিশুদ্ধতার অধিকারিণী), রাযীয়াহ্ (সন্তুষ্ট), মার্যীয়াহ্ (সন্তুষ্টপ্রাপ্ত), মুহাদ্দিসাহ্ (হাদিস বর্ণনাকারিণী) ও যাহরা (প্রোজ্জ্বল)।
ইবনে হিশাম, ইবনে শাহর আশূব, আল্লামা মাজলিসী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম) এবং আরও অনেক ইতিহাসবিদ, মুহাদ্দিস ও মুফাসসির হযরত ফাতেমা (আঃ)-এর আরও কতগুলো গুণবাচক উপাধির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ) নামেই সর্বাধিক সুপরিচিতা।
হযরত ফাতেমা যাহরা (আঃ)-এর প্রতিটি নামেরই বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও তাৎপর্য রয়েছে যা মুসলিম নারীদের জন্য অনুকরণীয় সর্বোত্তম আদর্শরূপে তাঁকে উপস্থাপন করেছে। নারীকুল যাতে তাঁকে অনুসরণের মাধ্যমে সর্বোত্তম পূর্ণতা ও আল্লাহ্ তা’আলার নিকট মহান মর্যাদার অধিকারী হতে পারে সে লক্ষ্যেই তাঁকে নারীকুলের জন্য আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে বিশেষ অনুগ্রহস্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে।
নারীকুল শিরোমণি হযরত ফাতেমা (আঃ) জ্ঞান, তাকওয়াহ-পরহেযগারী, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, সাহস, ধৈর্য, কষ্ট-সহিষ্ণুতা, দায়িত্ববোধ ও অন্য সমস্ত উত্তম গুণের প্রতিমূর্তি ছিলেন এবং এসব দিক দিয়ে তিনি শুধু সমগ্র নারীকুলেরই আদর্শ ছিলেন না, বরং পুরুষদের জন্যও তাঁর জীবন জ্ঞান ও শিক্ষার এক বিরাট উৎস। এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা কেবল স্বতন্ত্রভাবে ও সুপরিসর ক্ষেত্রেই সম্ভবপর।
হযরত ফাতেমা (আঃ) নবী করীম (সাঃ)-এর ওফাতের অল্পকাল পরে হিজরী ১১ সালে ইন্তেকাল করেন। জন্মতারিখ সম্পর্কে মতপার্থক্যের কারণে ওফাতকালে তাঁরা বয়স সম্পর্কেও মতপার্থক্য হয়েছে। নবুওয়াতের পঞ্চম বছরে জন্মের তারিখ সঠিক গণ্য করা হলে তিনি ১৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তাঁর ওফাতের তারিখ সম্বন্ধেও মতভেদ আছে। নবী করীম (সাঃ)-এর ওফাতের ৪০, ৭৫ বা ৯০ দিন পরে অথবা ৬ মাস পরে হযরত ফাতেমা (আঃ) ইন্তেকাল করেন। কোন কোন সূত্রে সুনির্দিষ্টভাবে ১৪ই জমাদিউল উলার কথা বলা হয়েছে। তাঁকে মদীনা শরীফের জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।